আমাদের হাত ও পায়ের আঙুলের নখ বড় হতে শুরু করে নখের গোড়া থেকে। নখের গোড়ার কিছু অংশ ত্বকের ভেতরে থাকে। সেখানে নখের নতুন কোষ (সেল) তৈরি হয়। নখের এই নতুন কোষগুলো পুরোনো সেলগুলোকে সামনে ঠেলে দেয়। পুরোনো সেলগুলো তখন কেরাপিন নামের প্রোটিন তৈরি করে একটু ঘন ও শক্ত হয়।
কিন্তু নখের গোড়ার নতুন সেলগুলো পুরোনো নখের সামনের দিকের অংশকে ঠেলে বাইরে নিয়ে যায় এবং গোড়ার অংশ নখের নিচের আবরণ থেকে বেরিয়ে সামনের দিকে বাড়তে থাকে। এভাবে নখ বড় হয়ে আঙুলের বাইরে বেরিয়ে আসে।
আমাদের আঙুলের নখ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। হাতের আঙুলের নখ মূলত কোনো জিনিস চিমটি দিয়ে ধরতে পারে। যেমন খাওয়ার সময় মাছের কাঁটা বাছতে নখের জুড়ি নেই। আর পায়ের আঙুলের নখ মূলত হাঁটার সময় পায়ের পাতার সামনের অংশকে আঘাত থেকে বাঁচায়। নখ ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকাই কঠিন হতো।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা লক্ষ করি, নখ বেশ শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। কারণ, বয়স বাড়লে নখের গোড়ায় নতুন নখের কোষ সৃষ্টির গতি কমে যায়। তখন পুরোনো নখগুলো সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে না এবং সামনে না বেড়ে মোটা হয়ে ফুলে ওঠে। মূলত পায়ের নখগুলোই একধরনের বিদ্ঘুটে আকার ধারণ করে। হাতের নখের প্রতি আমরা বেশি যত্ন নিই, যেন বিদঘুটে রূপটা অন্যদের নজরে না আসে। সে জন্য নেইলকাটার দিয়ে কেটে ও ঘষে-মেজে একটু সুন্দর রাখার চেষ্টা করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।