জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন আবাসিক হলে বরাদ্দকৃত আসন থাকা সত্ত্বেও হলে থাকতে পারছেন না অনেক শিক্ষার্থী। নিজেদের বৈধ আসন ফিরে পেতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে চবি ছাত্রলীগের একাংশ।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে নিজেদের দাবি আদায়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নেয়া অধিকাংশই চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ‘প্রশাসনের গাফিলতি, হলের বাইরে থাকা আমাদের পরিণতি’, ‘আমার সিটে আমি নাই, সন্ত্রাসীদের দেখতে পাই’, ‘সাধারণ-রাজনৈতিক ভাই ভাই, রাজনৈতিক বলেই কি সিট নাই?’ ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায়।
আন্দোলনে অংশ নেয়া এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী আরিফুর ইসলাম বলেন, ২২৪ নং কক্ষে আমার বৈধ এলটমেন্ট রয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে এক দফা রুম ভাঙচুর চালায় বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। সে সময় রুম থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে। এরপর হলের প্রভোস্ট আমার আসনটি উদ্ধার করে দেয় কয়েক মাস আগে। কিন্তু মাসখানেক আগে আবারও অতর্কিত হামলা করে আমার রুমের মালামাল লুটপাট করে বিজয়ের কর্মীরা। আমার মতো এফ রহমান হলের প্রায় ৪৫ জন এখনো হলে থাকতে পারছে না।
আলাওল হলের ৪৩৬ নং কক্ষের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রমজান আলী বলেন, আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না । কিন্তু গত মাসে আমার রুম ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি এখনো রুমে উঠতে পারছি না।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ইতোপূর্বে যারা হলে উঠতে পারছে না, তাদের একটি তালিকা প্রশাসনের কাছে জমা দেয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তালিকা অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী হলে ৭৫ জন, এফ রহমান হলে ৪৫ জন এবং আলাওল হলে এ রকম ৪০ জন বৈধ শিক্ষার্থী থাকতে পারছে না। প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে বিষয়টা সমাধান না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, শিক্ষার্থীরা বৈধ সিট দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি। আর যারা হলে সিট দখল করে আছে তারা কারা? তারা এতই শক্তিশালী যে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, তারা একটা তালিকা দিয়েছে। সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। সকল বিষয় বিবেচনায় করে আমরা সিদ্ধান্ত দিব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।