আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ জন দেশে ফিরলেন, স্বাগত জানালেন হাসনাত-সারজিস

জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পেয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে মোট ১৪ জন দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। এসময় তারা দুই সমন্বয়কের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আগতরা হচ্ছেন সুহেল আহমেদ ও মো. জহিরুল ইসলাম নাহিদ। শনিবার রাতে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটে তারা শারজাহ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন।

শনিবার রাত পর্যন্ত আমিরাতে ক্ষমা পাওয়াদের মধ্যে মোট ১৪ জন দেশে ফিরেছেন। ঢাকায় দুইজন ছাড়াও চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন ১২ জন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সুখবরটি পেয়েছেন।

তিনি বলেন, তাদের ক্ষমা করানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন তাদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, ওই দেশে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাদের বিষয়ে কী হবে, তা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সম্ভবত তারা দেশে ফিরে আসবেন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের প্রভাবশালী সেই সায়লা ফারজানা ওএসডি