জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় এক বিকাশ এজেন্টকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টার পাশাপাশি আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণ ঘটনা সাজিয়েছিল হত্যাকারী নিজেই। খুনের ১০ দিনের মাথায় হত্যাকারী আবদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক এ তথ্য।
ছেলের হত্যাকারীকে দেখে বিলাপ করে কেঁদে বিচার দাবি করেন ষাটোর্ধ্ব মায়া রানী বিশ্বাস। পাওনা দেড় লাখ টাকা চাওয়ায় ১৪ অক্টোবর গলায় ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে বিকাশ এজেন্ট বিজয় কুমার বিশ্বাসকে হত্যা করেছিল আবদুর রহমান।
নিহতের মা মায়া রানী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি কিছু চাই না আমার পুতেরে চাই। সুষ্ঠু বিচার তোমরা করে দেও।’
মামলার বাদী সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু বিচার চাই।’
চট্টগ্রাম সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ জানান হত্যার পর একদিন লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল আবদুর রহমানের অফিসে। এরপর লাশ গুমের জন্য এক কর্মচারীর সহায়তায় বস্তাবন্দি অবস্থায় বাসে ঢাকায় পার্সেল হিসেবে পাঠানোর চেষ্টা ছিল। এর মধ্যে আবদুর রহমান নিজেই সৈয়দপুর গিয়ে আত্মগোপন করে অপহরণ ঘটনা সাজায়।
আবদুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজের এবং নিহত বিজয়ের মোবাইল ফোন সিমসহ নষ্ট করে ফেলে। তারপরেও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
আবদুর রহমানের কাছে দেড় লাখ টাকা পাওনা ছিল বিজয় বিশ্বাসের। তবে লাশ গুমের সঙ্গে জড়িত দোকান কর্মচারী নাছির উদ্দিনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।