স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকসকে নিউ জিল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু এই পুরস্কারের জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করেন না ইংলিশ এই অলরাউন্ডার। এই সম্মানের জন্য নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের পক্ষে নিজের ভোট দিয়েছেন স্টোকস।

বিশ্বকাপে নেতৃত্বে দক্ষতা দেখানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতে দলকে একাই টেনেছেন উইলিয়ামসন। নিউ জিল্যান্ড দলের সিংহভাগ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। দুটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৫৭৮ রান সংগ্রহ করে টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তাঁর অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব গুণেই বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। শিরোপা ঘরে তোলার লড়াইয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ উপহার দিয়েছিল কিউইরা। যদিও শেষ পর্যন্ত বেন স্টোকসের দুর্দান্ত ব্যাটিংশৈলীতে ইংলিশরাই ঘরে তোলে প্রথম শিরোপা। তবে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উইলিয়ামসনই। তাই নিউ জিল্যান্ডের বর্ষসেরার পুরষ্কার (নিউ জিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার) উইলিয়ামসনেরই প্রাপ্য বলে মনে করেন স্টোকস।
‘আরও অনেকেই আছে যারা এই পুরস্কারের যোগ্য এবং নিউ জিল্যান্ডের জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি মনে করি পুরো দেশ নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সমর্থন করবে। কিউই কিংবদন্তির সম্মান তাঁর পাওয়া উচিত।
সে বিশ্বকাপে দলকে সম্মানের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছে। সে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার এবং অধিনায়কদের জন্য অনুপ্রেরণা। প্রতিটি পরিস্থিতিতে সে নম্রতা এবং সহানুভূতি দেখিয়েছে। সে এই সম্মানের যোগ্য। নিউ জিল্যান্ড তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে। এই পুরষ্কার তাঁরই প্রাপ্য এবং আমিও তাঁকে ভোট দিচ্ছি।’
স্টোকসের জন্ম নিউ জিল্যান্ডে হওয়াতে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় উইলিয়ামসনের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনিও। তবে এই পুরস্কারের জন্য নিজেকে দাবিদার মনে করেন না স্টোকস।
‘নিউ জিল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের জন্য মনোনীত হওয়ায় আমি অভিভূত। আমি নিউ জিল্যান্ড এবং মাওরি হেরিটে নিয়ে গর্বিত কিন্তু এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হওয়া আমার জন্য সঠিক নয়। আমি ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলতে সাহায্য করেছি। আমার মনেপ্রাণে ইংল্যান্ডের জন্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি ১২ বছর বয়স থেকে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।