সোহেল সারোয়ার চঞ্চল : আর্জেন্টাইন ফুটবলার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। কে না জানে তাকে। কে না চেনেন তাকে। একমাত্র স্ট্রাইকার যিনি দুটি বিশ্বকাপ ফুটবলে হ্যাটট্রিক করেছেন। একসময় ৭৭ ম্যাচ খেলে ৫৪ গোল করে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় ছিলেন বাতিস্তুতা। তিন বিশ্বকাপে ১০ গোল করে টপ স্কোরার হয়ে আছেন বাতিস্তুতা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই বাতিস্তুতাকে বলা হতো পেলে। চিকন শরীর তার। ফুটবল মাঠে যেমনটা ছিলেন এখনো সেরকমই আছেন। আর্জেন্টিনার ফুটবল ভক্তরা তো আছেনই ব্রাজিলের ফুটবল ভক্তরাও তাকে ভালোবাসেন। আরো ভালোবাসেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের মানুষরা।
ফিফার বর্ষ সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়া বাতিস্তুতাকে দেখলে হাজার হাজার মানুষ তার পেছনে ছুটে যান। কাতারে আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ম্যাচের পর এই চিত্রই দেখা গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করেও তার নাগাল পাওয়া যায়নি সেদিন। ফুটবল ভক্তরা বাতি বাতি বলে ছুটলেন তার পেছনে। ভিড়ের মধ্যে ছবি তোলার সুযোগ নেই তারপরও সেলফি তোলার জন্য কী যে হাহাকার, সেটা নিজের চোখেই দেখলাম। নিরাপত্তা কর্মীরা এসে বাতিস্তুতাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন নিরাপদ জায়গায়। সেদিন ভাগ্য খারাপ হলেও সৌভাগ্য ফিরে এসেছিল, আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেই পাওয়া গেল ফুটবল কিংবদন্তি বাতিস্তুতাকে। পরিচয় দিতেই বললেন, ‘হ্যাঁ আমি জানি বাংলাদেশ নামটা। সেখানে আর্জেন্টিনার ভক্ত অনেক। তোমরা এত দূরের মানুষ হয়েও আর্জেন্টিনাকে ভালোবাস সেটা আমরা জানি।’
বাতিস্তুতাকে বলা হলো আর্জেন্টিনা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা হয়েছে। কথাটা শুনেই বাতিস্তুতা বললেন, ‘এখনো তো খেলাই শুরু হয়নি। এমন আনন্দ হয় যখন চ্যাম্পিয়ন হবে। তোমরা এখনই আনন্দ করছ। গুড, গুড।’ ছবি তুলেছিলাম বাতিস্তুতার সঙ্গে। বাতিস্তুতা চলে যাওয়ার পর দেখলাম ছবিটা ভালো হয়নি। পেছনে লাইট পড়ে গেছে। পরে আবার সুযোগ হয়েছিল দেখা করার। নতুন করে ছবি তোলার অনুরোধ করলে বাতিস্তুতা বললেন, ‘এগেইন। ওকে ওকে।’ বলেই ছবি তুললেন পাশে দাঁড়িয়ে। সূত্র : ইত্তেফাক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।