আমি বাংলাদেশের পক্ষে কিছু কথা বলবো

আনিসুল হক : ১. বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ নিরুৎসাহিত করেছে, বন্ধ করেছে। তার মানে কিট আগেই আনা ছিলো। ২. উহান থেকে বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফেরত এনেছে। ৩. স্কুল-কলেজ মোটামুটি তাড়াতাড়ি বন্ধ করেছে। ৪. ঠিক সময়ে লকডাউনে গেছে। নাগরিকদের কর্তব্য ঘরে থাকা। যে গরিব মানুষেরা পেটের দায়ে বেরিয়েছেন তাদের কথা আলাদা। কিন্তু ঘরে থাকতে ভালো লাগে না বলে যারা বেরিয়েছেন তাদের ঘরে নেওয়া যাবে কী করে।
৫. হাতে এখন ৪৩ হাজার কিট আছে। আমি একদম প্রত্যক্ষভাবে নিউইয়র্কের খবর জানি। ৯১১ কল করলে ধরছে না। করোনা নিয়ে হাসপাতালে গেলে টেস্ট না করে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমাদের একজন বন্ধু বাড়িতে এসে নিজে নিজে সেরে উঠছেন। বাংলাদেশে কিট পেলেই সারাদেশে পাঠানো যাবে না। কারণ আপনি ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন। এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেলে মহাবিপদ হবে।

কতোগুলো সাবধানতা, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থা লাগবে এই বিপজ্জনক ভাইরাসটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে। ৬. দেশের মানুষ স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসছেন। পিপিই বানানো হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ৭. মানুষ মানুষের পাশে খাদ্য ইত্যাদি নিয়ে এগিয়ে আসছে। ৮. সরকার প্রতি ইউনিয়নে ৪০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে/ দিয়েছে। ৯. বেসরকারি উদ্যোক্তারা সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন। বসুন্ধরা ৫০০০ শয্যার হাসপাতাল বানিয়ে দিতে চেয়েছে। ১০. পুলিশ মিলিটারি প্রশাসন নিজের বিপদের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সচেতন ও সাহায্য করার চেষ্টা করছে। ১১. বহু ডাক্তার-নার্স মানুষ নিজেদের ঝুঁকি নিয়েও মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। ১২. সাংবাদিকেরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

১৩. ক্রিকেটাররা তাদের অর্ধেক বেতন দান করেছেন। (এখনোই কমেন্ট আসবে, আপনি কী করেছেন। আমি আমার সাধ্যমতো করছি। করবো। যারা আমার বন্ধু, কিন্তু দোকানপাট কাজ বন্ধ হওয়ায় বিপদে পড়েছেন, আবার সাহায্যও নিতে পারছেন না, আমি তাদের পাশে আছি। কী করেছি, কাকে দিয়েছি, আমি সেটা প্রকাশ করবো না)। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। আমরা জয়লাভ করবোই। লেটস ফাইট ব্যাক। ফেসবুক থেকে

Write a Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *