স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক। মাত্র ১ ভোট পাওয়া জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার বলেছেন, ‘জানি না গণনায় (ভোট গণনা) স্বচ্ছতা ছিল কি-না।’
মাত্র এক ভোট পাওয়ার যোগ্য কি-না ভেবে নিজেই আশ্চর্য মানিক আরো বলেছেন, ‘যদি এই ভোটটি ফেডারেশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে, তাহলে বলব আমাকে একটি ভোট দিয়ে সম্মান করেছে।’ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বাফুফে নির্বাচনে একেবারেই আলোচনার বাইরে থেকে সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন মানিক। ফুটবলের নেতৃত্বে পরিবর্তন দরকার, সেই তাড়না থেকেই ভোটের লড়াইয়ে আসার কথা জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার।
ভোটের দিনও জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছিল তাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৯৪ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। আরেক প্রার্থী বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট। যিনি সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও শেষ মুহূর্তে আবার ভোটের লড়াইয়ে থাকার ঘোষণা দেন।
বদলের এভাবে ফিরে আসাটাও ভোটে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন মানিক, ‘কিছু ভোট ছিল সালাউদ্দিন ভাইয়ের বিপক্ষে। সে সংখ্যাটা অনেক বেশি। এখানে বাদল ভাই আমার ভোট পেতে বাধাগ্রস্ত করেছেন। বাদল ভাই নিজের অবস্থানটা সুসংহত করেননি। আমি যদি একা থাকতাম তাহলে কাউন্সিলরদের আস্থা অর্জনে আরও বেশি সক্ষম হতে পারতাম।’
ভোটের দিন মানিক অভিযোগ করেছিলেন ভোট গণনার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন তাকে কক্ষে থাকতে দেননি। সেই অভিযোগের কথা আবারো বললেন মানিক, ‘যেহেতু আমি উপস্থিত ছিলাম না ভোট গণনার সময়, জানি না গণনায় স্বচ্ছতা ছিল কি-না…। আমি যেহেতু ছিলাম না, এর মানে আমাকে হয়তো দয়া করে ফেডারেশন একটা ভোট দিয়ে নির্বাচন হালাল করেছে।’
নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে একজন কাউন্সিলরকে প্রস্তাবক এবং অন্য আরেক কাউন্সিলরকে সমর্থনকারী হিসেবে প্রার্থিতার ফরমে সই করতে হয়। অর্থাৎ মানিকের ১ ভোট পাওয়া মানে নিশ্চিতভাবেই এই দুজনের অন্তত একজনের ভোট পাননি তিনি (মানিক নিজে ভোটর নন)।
মানিকেরও তাই কৌতূহল, ‘আমারো প্রশ্ন কে দিল এই এক ভোট? এখানে কাউন্সিলদের অনেকে আছেন যারা আমার অধীনে খেলেছেন। আমার সতীর্থ কোচ আছেন। কেউ কি আমাকে ভোট দেননি? কেউ আমাকে যোগ্য মনে করেনি?’
আরো বলেন, ‘একজন কাউন্সিলরের কথা বলব, ২০ বছর আগে যার খেলা দেখে ৫০ টাকা দিয়েছিলাম। ওই ৫০ টাকা সে আজও তুলে রেখেছে। ও আমাকে কথা দিয়েছিল ভোট দেবে। শীর্ষ পর্যায়ের একজন কাউন্সিলর বলেছে, তুমি ভোট চাওনি কিন্তু আমি তোমাকে নিশ্চিত করলাম, ভোট তোমাকেই দেব। এই ভোটগুলো কোথায় গেল? আমি এক ভোট পাওয়ার যোগ্য কি-না সেটা ভেবে আশ্চর্য হয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।