জুমবাংলা ডেস্ক: গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আমেনা খাতুনের বয়স মাত্র ৩৩ বছর। আর বয়স কম হওয়ায় পাচ্ছেন না বয়স্ক ভাতা।
আমেনা খাতুন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার দর্জিগাতী গ্রামের প্রয়াত ছমেদ আলীর স্ত্রী। অভাব-অনটনের সংসারে আমেনা খাতুন থাকেন নাতির সঙ্গে।
জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরান পারভেজের করা একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়েছে আমেনা খাতুনের। বয়সের ভারে লাঠির সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। চোখে কম দেখেন, কানেও কম শোনেন। ইতোমধ্যে চার ছেলে মারা গেছেন। এক ছেলে জীবিত থাকলেও তিনিও বয়সের ভারে ন্যুব্জ। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী এই বৃদ্ধার বয়স মাত্র ৩৩ বছর। পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বড় ছেলে মো. ইয়াকুব আলীর বর্তমান বয়স ৮৬ বছর। ৩৫ বছর আগে আমেনা খাতুনের স্বামী মারা গেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পান আমেনা খাতুন। তাঁর জন্ম ১৯০২ সালে হলেও পরিচয়পত্রে লেখা রয়েছে ১৯৮৯ সাল।
আমেনার এক নাতনির ছেলে রাকিবুল হাসান পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও গত পাঁচ বছরে তিনি তা করতে পারেননি।
গালাগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান তালুকদার বলেন, আমেনা খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলের বিষয়টি তিনি কিছুদিন আগেই জেনেছেন। তাঁর জানামতে, আমেনা খাতুন এই গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলের কারণে তিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে অতি দ্রুত আমেনা খাতুনের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।