সোহেল চৌধুরী রানা, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ মানসম্পন্ন আম উৎপাদনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ও প্রাকৃতিকভাবে রোগ-বালাই দমন পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে। উত্তম কৃষি পদ্ধতি চর্চার (গ্যাপ) মধ্য দিয়ে মানসম্পন্ন আম উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারলে রপ্তানি বাণিজ্যের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। আম রপ্তানি বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চা নিশ্চিত করতে হবে।বুধবার নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঘাসফুলের সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের (এসইপি) জ্ঞান বিনিময় বিষয়ক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন, সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন প্রমুখ। কর্মশালায় বছরব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে আম চাষের জন্য উচ্চ ফলনশীল এবং জলবায়ু সহনশীল আমের জাত পরিচিতি বিষয়ক আলোচনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসইপি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কুদরতে খোদা মো. নাছের।
বক্তারা বলেন, গুণগত আম উৎপাদনের ফলে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিকভাবে সুফল পাওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ু সহনশীল আমের জাত উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদন নিশ্চত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। উত্তম কৃষি চর্চার প্রধান শর্ত হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ও প্রাকৃতিক পোকামাকড় দমন পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে। উত্তম কৃষি চর্চা নিশ্চিত করতে পারলে আম রপ্তানির অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘাসফুল এসইপি প্রকল্পের মাধ্যমে নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত আম উৎপাদন নিশ্চিতে কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।