আয়ারল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় লিখলেন বামপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যাথরিন কনলি। ৬৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে মধ্যপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী হেদার হামফ্রিসকে (ফাইন গেইল পার্টি) হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তবে সহজ জয়ের পরও নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক থামেনি। রেকর্ড সংখ্যক বাতিল ভোট এবং ডানপন্থী প্রার্থীর অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা চলছে। মোট ১.৬৫ মিলিয়ন ভোটের প্রায় ১৩ শতাংশই অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ।
বিজয়ের পর কনলি এক আবেগঘন ভাষণে বলেন,“আপনাদের সেবা করা আমার জন্য এক বিশাল সম্মান। যারা আমাকে ভোট দেননি বা ভোট বাতিল করেছেন, আমি সবার কথা শুনব এবং সবার জন্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রেসিডেন্ট হব।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন শান্তির কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার, নীতি নিরপেক্ষতা রক্ষার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তব হুমকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,“তিনি একটি প্রভাবশালী প্রচারণা চালিয়েছেন। আমি নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।”
কনলির এই জয়কে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, “আয়ারল্যান্ডে বাম রাজনীতির পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত।”
সূত্র: দ্য আইরিশ টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



