জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন আরমানিটোলা খেলার মাঠের পাশে একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৩টা ১৮ মিনিটে আবাসিক ভবনটির নিচতলার কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২), ওই ভবনের নিরাপত্তা কর্মী ওয়ালীউল্ল্যাহ ও রাসেল। ভবনের ৫ম তলায় মৃত চারজনের মধ্যে দুইজনের লাশ পাওয়া গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। তাদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের একজন দগ্ধ ও কয়েকজন ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আহতদের রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেহেরির একটু আগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাট ও ছাদে আটকা পড়েন বাসিন্দারা। তাদেরকে ছাদ থেকে এবং বারান্দা ও জানালার গ্রিল কেটে বের করে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর ৩টা ১৮ মিনিটে বংশালের আরমানিটোলা খেলার মাঠের পাশে বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলার কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন লাগা ওই ভবনের নাম হাজী মুসা ম্যানশন। ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউন থাকলেও দোতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত লোকজন বসবাস করে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ভোর ৩টা ২৫ মিনিটেই ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছায়। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। এরপর আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও ৩টি ইউনিট যুক্ত হয়। এর কিছুক্ষণ পরে আরও ৮টি ইউনিট যুক্ত হয়েছে। মোট ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তাদের দীর্ঘ তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।