জুমবাংলা ডেস্ক : নায়িকা অপু বিশ্বাস ছবি দেখে তো তব্দা খাওয়ার অবস্থা। প্রথমে চিনতে পারেননি। তার প্রশ্ন, নতুন নায়িকা নাকি? তারপর নিজেই নিজের ভুলটা ভাঙলেন, ‘ও না না। সাবরিনা না কি যেন নাম। টেলিভিশনে তো কয়েকদিন ধরে দেখছি। করোনা টেস্ট নিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মনে হয়।’
সাবরিনা এখন মোটামুটি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। এখন জনসাধারণের পরিচিত মুখ হলেও সাবরিনার শরীর দেখানো অনেক আগ থেকেই। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্টার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ডা. সাবরিনা। ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী ওরফে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে প্রায়ই টেলিভিশন টকশোতে দেখা যেত স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনায়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের এই কার্ডিয়াক সার্জন কথিত ‘স্বেচ্ছাসেবী’ সংগঠন জেকেজি হেলথ কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান। জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী। ডা. সাবরিনা তার চতুর্থ স্ত্রী।
সাবরিনার বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলো বলে না তিনি চিকিৎসক। ছবিগুলো বলে তিনি তৃতীয় সারির কোন মডেল। তার ছবিগুলো মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশের অশ্লীল যুগের সিনেমাকে। সে যুগে সিনেমায় এমন শরীর দেখানোই ছিলো মূল উদ্দেশ্য। চিকিৎসকের মতো মহান পেশায় থেকে একজন মানুষ কিভাবে এহেন ছবি প্রকাশ করে সেটা ভেবে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। কোন চিকিৎসকের শরীরে এত ট্যাটু আছে কিনা সেটাও প্রশ্ন। বিভিন্ন সময় তিনি শরীর প্রদর্শনের সঙ্গে ট্যাটুও প্রদর্শন করতেন।
কয়েকটি সূত্র বলছে, আরিফ কাজ পাওয়ার জন্য তার এই চতুর্থ স্ত্রীকে ব্যবহার করতেন। আরিফের নেশারও পার্টনার এ নারী। সাহেদকে নিয়ে আলোচনার ভিড়ে এই প্রতারক ডাক্তার সাবরিনা হয়তো ভেবেছে তারা প্রতারণার কিছু হবেনা। সাহেদের চেয়ে বড় চালাক প্রতারক এই ডাক্তার। যেখানে ডাক্তারির মত মহৎ পেশাকে সে মানুষ হত্যার মত জঘন্য কাজে ব্যবহার করেছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ল্যাপটপেই ১৫০০০ ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তিতুমীর কলেজে তাঁবু বসিয়ে হাজার হাজার স্যাম্পল কালেকশন করেছিলো, কিন্তু কোন নমুনা পরীক্ষা না করেই নেগেটিভ / পজিটিভ রেজাল্ট দিয়েছে।
টেস্ট না করেই করোনার রিপোর্ট নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা প্রকাশ্যে আসার পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর।
পুলিশ বলছে, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্টার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ডা. সাবরিনা। কিভাবে, কার মাধ্যমে তিনি এ কাজ হাতিয়েছেন, সে ব্যাপারে চলছে অনুসন্ধান। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।