জুমবাংলা ডেস্ক: বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ভাসছে পুরো বিশ্ব। থেমে নেই বাংলাদেশেও। রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব বিপণিবিতান ছেয়ে গেছে প্রিয় দলের জার্সিতে। সঙ্গে রয়েছে পতাকা ও হাতের ব্যান্ডসহ বাহারি সব পণ্য। ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমে উঠেছে বেচাকেনা।
রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেট, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জার্সি, পতাকা, ব্রেসলেটসহ নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বেচা-বিক্রির চাপে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তবে আর্জেন্টিনার জার্সি-পতাকা তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এরপরই বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিলের। জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগালও পিছিয়ে নেই।
জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে পাইকারি ক্রীড়া সামগ্রীর বাজার গুলিস্তান সমবায় মার্কেটে প্রায় ৫০ লাখ টাকার জার্সিসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হয়েছে। পাশেই বঙ্গ মার্কেটেও পাইকারি জার্সি বিক্রি হচ্ছে। এই দুই মার্কেট থেকে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার ফুটবল আয়োজনের নানা পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রীড়া সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গত মাসে জার্সি বেশি বিক্রি হয়েছে। এখন রাজধানীর খুচরা বিক্রেতারা বেশি নিচ্ছেন। এখন প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জার্সি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রির সবচেয়ে বড় বাজার গড়ে উঠেছে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে।
গুলিস্তান সমবায় মার্কেটের ক্রীড়াসামগ্রীর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা ‘শাহিন স্পোর্টস’ এর স্বত্বাধিকারী শাহিন মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষে ৯ লাখ জার্সি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করছি। ‘আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সি চাহিদা ক্রেতাদের আগ্রহের তুঙ্গে। জার্মানি, পর্তুগাল, ইতালি, স্পেনের জার্সির চাহিদাও মন্দ নয়। ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে আমাদের।’
জানা যায়, থাইল্যান্ড ও চায়না থেকে আমদানিকৃত জার্সিগুলো সাধারণত এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আরও চড়া মূল্য রাখা হচ্ছে। তবে ফুটবলাপ্রেমীরা বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিদের কাছে। তবে এবারের বিশ্বকাপ মৌসুমে দেশে তৈরি জার্সির চাহিদা বেশি। একটু কম দামে ফুটপাথে পছন্দের দলের জার্সি পাওয়ায় ফুটবলপ্রেমীদের ভিড় সেখানে বেশি। কিন্তু স্থান ও দোকানভেদে জার্সির দাম কমবেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আশরাফ আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি ২০ বছর ধরে জার্সি ব্যবসা করছেন। এখন হাফ হাতা জার্সি ৬০০ ও ফুলহাতা জার্সি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে স্থানীয় কাপড়ে তৈরি জার্সিগুলো পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই।
শুধু জার্সিই নয়, বিক্রি হচ্ছে নানান দেশের পতাকা। এসব পতাকা তৈরির জন্য কাজের ফুরসত নেই পোশাকের কারিগর দর্জির দোকানগুলোতে। গুলিস্তান ও সদরঘাট এলাকার মার্কেটগুলোতে সবেচেয়ে বেশি পতাকা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর সব এলাকায় কমবেশি সব দর্জি পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জার্সি ও পতাকার হঠাৎ এ চাহিদায় মৌসুমি ব্যবসা করছেন কয়েক হাজার মানুষ।
গুলিস্তানের ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের বিভিন্ন দেশের পতাকা বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ফুটবল খেলুড়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পতাকা এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের পতাকার পাশাপাশি মেসি, নেইমার, রোনালদোসহ বিভিন্ন দেশের ফুটবলারের প্রতিকৃতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।