লিওনেল স্কালোনি নিয়ে আলোচনা না করলেই নয়। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর দুর্বল আর্জেন্টিনা দলকে তিনি যেভাবে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছেন সেটা প্রশংসার দাবি রাখে। স্কালোনি টেকনিক্যাল জায়গায় অন্য কোচদের থেকেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।
২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে কান্না ভেজা পরাজয়ের পরে লিওনেল মেসি যখন অবসর গ্রহণ করেন তখন এই স্কালোনি মেসিকে বুঝে পুনরায় আর্জেন্টিনা দলে নিয়ে আসেন।
স্কালোনি মেসিকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, সামনে আর্জেন্টিনার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সারা বিশ্বের সকল আর্জেন্টিনার সমর্থক লিওনেল স্কলোনির উপর আস্থা রেখেছিলেন।
এত এত চাপ সামলে স্কালোনি আর্জেন্টিনাকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা এনে দিতে সক্ষম হয়েছেন। এবার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে দলকে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
আর্জেন্টিনার ফুটবল বোর্ড অন্য দেশের ফুটবল বোর্ডের তুলনায় আর্থিকভাবে দুর্বল। অন্য দেশের বোর্ডের তুলনায় তারা কোচিং স্টাফদের খুব বেশি বেতন দিতে পারেন না। কিন্তু স্কালোনি এবং তার কোচিং স্টাফ যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা অর্থ দিয়ে মাপা সম্ভব নয়।
স্কালোনির সবথেকে বড় কৌশল হচ্ছে তিনি প্রত্যেক ম্যাচ এ ভিন্ন ভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করেন। সব ম্যাচে একই কৌশলে দলকে খেলান না। বড় টুর্নামেন্ট এ তার এই বুদ্ধি বেশ কাজে লেগেছে।
এখানেই শেষ নয়। ২০২১ কোপা আমেরিকার প্রতিটি ম্যাচ এ তিনি একই একাদশ খেলান নাই। প্রত্যেকটি ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন একাদশ মাঠে নেমেছে। আজ যে খেলোয়াড় ৯০ মিনিট খেলেছে কাল তাকে বেঞ্চে বসে খেলা দেখতে হয়েছে।
দলের প্রয়োজনে তিনি প্রত্যেক ম্যাচ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ফরমেশন টেস্ট করে দেখেন। কখনো ৪-৩-৩ ফরমেশন, কখনো ৪-৪-২ ফরমেশন, কখনো ৫-৩-২ ফরমেশন। স্কালোনি যে মেধা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে তা কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালেও কাজে আসবে বলে বিশ্বাস সমর্থকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।