গত কয়েক দশকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিশ্বাস্য বিজয়, লাদেনের হত্যাকান্ড, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, করোনা মহামারী সবকিছুই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যেই পড়ে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমা শক্তির বিপরীতে চীনের মত দেশের উত্থান ঘটছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আধুনিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাটির পতন ঘটতে পারে। দীর্ঘকাল থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষার্থীদের এমন একটি দুনিয়া কল্পনা করতে শেখানো হয়েছে, যা অনেকগুলো সার্বভৌম রাষ্ট্রে বিন্যস্ত হয়ে আছে। তাদেরকে বিষয়টির চিরায়ত সত্যের পাঠ নিতে শেখানো হয়েছে।
কর্তৃত্বের বর্তমান বৈশ্বিক রূপরেখা অত্যন্ত জটিল। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিসের (ইউএনএইচসিআর) মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শরণার্থীদের সাথে রাষ্ট্রের আচরণের বিষয়ে প্রতিবেদন করার ক্ষমতা রাষ্ট্র নিজেই সংস্থাগুলোকে দিয়েছে।
আদিবাসী আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই বৃহত্তর কনফেডারেসিসমূহের অংশ ছিল। যেমন ইরোকোয়াজ লিগ। মোহক, ওনেইদা, ওনোনদাগা, কায়ুগা, ও সেনেকা জাতিদের নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে চীন, মিসর, ও ভারতের মতো নবগঠিত উত্তর-উপনিবেশিক স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সাংস্কৃতিক সমতার ভিত্তিতে একটি নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা কায়েমের জন্য লড়াই করার উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুংয়ে মিলিত হন।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের আধিপত্যশীল ঘটনাগুলো হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৩০য়ের দশকের মহামন্দা, ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করার পেছনে যে প্রত্যাশা কাজ করেছিল, সেটি হলো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও শাসনপ্রণালি মানবাধিকার রক্ষা করবে, বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করবে, এবং যুদ্ধবিগ্রহের ফিরে আসাটা রুখে দেবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পণ্ডিতরা ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যকার বহিঃস্থ সম্পর্কে জোর দিয়ে এর জবাব খুঁজেছেন। যার মধ্যে পড়ে যুদ্ধ, বাণিজ্য বিষয়ক দরকষাকষি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত চুক্তি ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যদি কেবলই সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর ব্যাপার হয়, তাহলে আমাদের বিষয়বস্তু খুবই সীমিত হয়ে পড়বে; কারণ আজকের দিনের বৈশ্বিক সার্বভৌম রাষ্ট্রব্যবস্থার পূর্ণ আবির্ভাব ঘটেছে স্রেফ ১৯৪৫-পরবর্তী বিউপনিবেশায়নের মধ্য দিয়েই। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যয়ন সরাসরি বৈশ্বিক সামাজিক ও জৈবিক জীবনের মৌলিক রাজনৈতিক শর্তগুলোর সম্মুখীন হয়। এটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সবচেয়ে আকর্ষনীয় রূপ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।