শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। দিনটি ছিল ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল। মৃত্যুশয্যায় তাঁর পাওয়া গেল একটি খাতা। দেখা গেল, জীবনের শেষ সময়টুকুতেও তিনি কাজ করছিলেন সমন্বিত ক্ষেত্রতত্ত্ব নিয়ে। সেই তত্ত্বটিই আজ থিওরি অব এভরিথিং নামে পরিচিত। বিশ শতকের অন্যতম সেরা এই বিজ্ঞানী কী ভেবেছিলেন এ তত্ত্ব নিয়ে?
পরিচ্ছন্ন হাতের লেখায় লাইনের পর লাইন বীজগাণিতিক হিসাব কষছেন। তবে অসুস্থতার কারণে কিছুক্ষণেই হাঁপিয়ে উঠলেন। খাতা-কলম পাশে রেখে একসময় বিছানায় এলিয়ে পড়লেন। সেদিনই রাতের দিকে বিড়বিড় করে মাতৃভাষা জার্মানে কী যেন বললেন। সেটাই ছিল তাঁর শেষ কথা। তারপরই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আইনস্টাইনের।
মজার ব্যাপার হলো, থিওরি অব এভরিথিং শিরোনামটা বিজ্ঞানজগতে পাকাপাকি আসন পাতলেও এর উৎপত্তি এক সায়েন্স ফিকশন গল্প থেকে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে একটা সাইফাই গল্প লেখেন বিজ্ঞানী মেরি কুরির দেশি ভাই স্টেইনসল লেম। পোলিশ সেই গল্পেই এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়েছিল প্রথমবার। এরপর ১৯৭৭ সালে জার্মান পদার্থবিদ হ্যারল্ড ফ্রিৎজ শব্দটি এক লেকচারে ব্যবহার করেন। পরের দশকে শব্দগুচ্ছটি জায়গা পায় বিখ্যাত নেচার জার্নালে।
তারপর থেকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানজগতে জনপ্রিয় উঠতে শুরু করে এটি। আর এখন তো স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে হালের সব তাত্ত্বিক বিজ্ঞানী বা অধ্যাপক সবকিছুর ফাইনাল বা চূড়ান্ত তত্ত্ব বোঝাতে এ শব্দগুচ্ছের দিকে হাত বাড়ান হরহামেশা। মোটা দাগে বললে, থিওরি অব এভরিথিং বলতে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম তত্ত্বকে একীভূত করে একটিমাত্র তত্ত্বে প্রকাশ করা বোঝায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।