নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের জল্লারপাড়া এলাকার চার বছরের শিশু শিহাব উদ্দিন আলিফ হ’ত্যা মামলায় একমাত্র আসামি অহিদুল ইসলামকে মৃ’ত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক আনিসুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদুল্লাহ নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরজব্বার ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের চর হাসান গ্ৰামের মাকসুদের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের জল্লারপাড়া আমহাট্টা এলাকার খোকন মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। এই মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি অহিদকে মৃ’ত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
নিহত আলিফের মা সালমা বেগম কান্নাজড়িত বলেন, আমি এই রায়ে খুশি এবং দ্রুত ফাঁ’সি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট বাড়ির সামনে খেলা করছিলো আলিফ। একপর্যায়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী আশপাশের বাড়িঘর ও পাড়া-মহল্লায় খোঁজাখুঁজি করলেও আলিফের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে প্রতিবেশী আলী খোকনের বাড়ির নিচতলার ভাড়াটের তালাবদ্ধ রুম থেকে এলাকাবাসী বস্তাবন্দি অবস্থায় আলিফের মরদেহ উদ্ধার করে।
শিশু আলিফের দুই হাত বাঁধা ও মুখে রুমাল গুঁজে দেওয়া ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও ছিল।
আগের দিন দেশে ফিরে আসা নিহতের বাবা সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে পরদিন ১৭ আগস্ট সদর মডেল থানায় হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন।
৩১ আগস্ট অহিদকে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে ঘাতক অহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। ঘাতক অহিদ আদালতকে জানান, তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার অর্থের প্রয়োজন ছিল বিধায় তিনি আলিফকে অপহরণ করেছিলেন। কিন্তু পরে জানাজানি হওয়ার ভয়ে তিনি আলিফকে হ’ত্যা করে লা’শ বস্তায় ভরে রেখে পালিয়ে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।