আলিবাবা গ্রুপ নিজেদের ব্যবসায়িক কাঠামো এবং পরিকল্পনাকে শুরু থেকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর চিন্তা করছে। এর আগে বিশ্বের অনেক টেক জায়ান্ট কোম্পানি বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল।
সময়ের সাথে চলতে হলে এবং পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে হলে ব্যতিক্রমী সব পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়িক অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হয়।
আলিবাবা গ্রুপ অব হোল্ডিংস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সুদীর্ঘ ২৪ বছর পূর্বে। বর্তমানে বৃহৎ পরিসরে কোম্পানিটি নিজেদের ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ২৮ মার্চ কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে এরকম ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ডেনিয়েল শ্যাঙ ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বেশ আশাবাদী।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস করার জন্য কোম্পানি আরো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আগ্রহী। ১৯৯৯ সালে যখন কোম্পানিটি বাজারে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তখন স্বল্প পরিসরে ব্যবসা করা হতো।
বর্তমানে ক্লাউড ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা, স্মার্ট লজিস্টিক সাপোর্ট সহ নানা ধরনের সুবিধা কাস্টমাররা কোম্পানির কাছ থেকে পেয়ে থাকছে। পরবর্তী সময়ে কম্পানিটি ছয়টি ইউনিটের মাধ্যমে একত্রিত হবে।
ছয়টি ইউনিট হচ্ছে:
১. ডিজিটাল মিডিয়া এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ
২. গ্লোবাল ডিজিটাল কমার্স গ্রুপ
৩. লোকাল সার্ভিসেস গ্রুপ
৪. তাওবাও টিমল গ্রুপ
৫. কাইনিয়াও স্মার্ট লজিস্টিকস গ্রুপ
৬. ক্লাউড ইন্টালিজেন্স গ্রুপ
এই ছয়টি ইউনিটের মাধ্যমে নতুন রূপে হাজির হবে কোম্পানিটি। প্রতিটি ইউনিট আলাদাভাবে দক্ষ ব্যক্তিবর্গ দ্বারা পরিচালনা করা হবে। বিনিয়োগকারীদের থেকে মূলধন সংগ্রহ করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে কোম্পানিটি।
এ ঘোষণার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটে আলিবাবার শেয়ারের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মনে হচ্ছে চীনের ই-কমার্সের ইতিহাসে আলিবাবা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।