জুমবাংলা ডেস্ক : ছেলে সাগরের চোখের সামনেই পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেলেন বাবা রায়হান (৪৫)। নিখোঁজের চার দিন পার হয়ে গেলেও এখনও জীবিত অথবা মৃত রায়হানের সন্ধান মেলেনি।
সাগরের প্রতিবেশী চাচা আলম খা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের সেখেরচক গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে রায়হান ডিঙ্গ নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাঝ নদীতে ডেঙ্গি নৌকা উল্টে রায়হান নদীতে নিখোঁজ হয়।
এ সময় দূর থেকে এ দৃশ্য দেখেন তার ছেলে সাগর। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী দমকল বাহিনী ও রাজশাহী ডুবুরি দল সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করতে না পেরে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রায়হানের মরদেহ পাওয়া যায়নি। এখন নদীর পানে চেয়ে আছেন স্ত্রী আলেয়া। কখন ভেসে ওঠে স্বামী রায়হানের লাশ। এ অপেক্ষার যেন শেষ নেই। স্বামীর কথা স্মরণ করে বার বার কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন তিনি। স্বামীর লাশটা পেলেও সান্তনা পেতেন স্ত্রী আলেয়া। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে তীরে বসে অশ্রু ভেজা চোখে তাকিয়ে আছেন নদীর দিকে। এই বুঝি ভেসে উঠবে রায়হানের মৃত দেহ। কিন্তু অপেক্ষার ক্ষণ ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এখনও পাওয়া যায়নি পদ্মার গভীর জলে তলিয়ে যাওয়া রায়হানকে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়ীয়ার শেখেরচর গ্রামের নুর মোহম্মদের ছেলে রায়হান (৩৮) নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে জেগে ওঠা চর থেকে মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার সময় পদ্মা নদীতে নৌকা স্রোতে তলিয়ে যায়। সাঁতরে অনেক চেষ্টা করেও কূলে আসতে পারেনি সে। এক সময় তলিয়ে যায়। তাকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধারের চেষ্টা করে স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।