জুমবাংলা ডেস্ক: আলোচিত রিফাত শরীফ হ.ত্যা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মঙ্গলবার আরও তিনজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
আজমল হোসেন, সাহাবুদ্দিন সাবু ও রুবেল হোসেন যখন সাক্ষ্য দেন তখন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৯ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ৪৪ জন ও শিশু আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্য জেরা সমাপ্ত হল।
ঘটনার পরে বিকালে আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজি ও রিশান ফরাজিকে পালাতে সহায়তা করে কামরুল হাসান সায়মুন।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টায় বরগুনা জেলা কারাগার হতে অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিকতর পুলিশি কড়া পাহারায় ৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে দায়রা আদালতে উপস্থিত করে।
জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও তার বাবার সঙ্গে আদালতে উপস্থিত হয়। আসামি মুছা পলাতক রয়েছে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
নিত্যদিনের মতো সকাল সাড়ে ৯টায় আদালত এজলাসে বসেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।
আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পরে কোর্ট প্রাঙ্গণে সাক্ষী সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, আমি ও আমার বন্ধু রুবেল হোসেন ডিস লাইনের কাজ করি। ঘটনার আগের দিন ২৫ জুন বিকালে আমরা দুইজন রিকশাযোগে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে যাই। ওই সময় একটি চায়ের দোকানে আমরা চা খাবার জন্য রিকশা দাঁড় করাই। তখন দেখি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজি, রিশান ফরাজি, টিকটক হৃদয়সহ অনেক পোলাপান দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চা না খেয়ে চলে যাই। পরের দিন ২৬ জুন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আমি ডিকেপি রোড হয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। তখন কামরুল হাসান সায়মুন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রিয়াজুলের বাড়ির সামনে দাঁড়ানো। তখন আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজি ও রিশান ফরাজিও দাঁড়ানো ছিল। পরে শুনেছি রিফাত শরীফকে ওই আসামিরা কুপিয়ে হ।ত্যা করেছে এবং সায়মুন আসামিদের পালাতে সহায়তা করেছে।
একই কথা বলেন, তার বন্ধু রুবেল হোসেন।
সাক্ষ্য আজমল হোসেন বলেন, আমি ওই সময় আউটসোর্সিং বাবুর্চি হিসেবে বরগুনা থানায় কাজ করি। আসামি কামরুল হাসান সায়মুন ও টিকটক হৃদয়ের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। আমি সেই জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি।
আসামি মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা কেহ রিফাত শরীফকে কোপাতে দেখেনি। সাক্ষ্যরা বলেছেন- তারা ঘটনার আগের দিন একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে। এভাবে দোকানের সামনে অনেক লোক দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবনচন্দ্র হাওলাদার বলেন, আদালতে তিনজনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে। সাক্ষ্যরা যা দেখেছে এবং শুনেছেন আদালতে তাই বলেছেন। সব সাক্ষ্যর সবকিছু দেখতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
শিশু আদালতে ৯ জন আসামি বরগুনা কারাগার থেকে এবং জামিনে মুক্ত ৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। এ আদালতে নুরুল ইসলাম রনি ও মনির হোসেন সাক্ষ্য দেয়।
বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তাদের সাক্ষ্য ও জেরা রেকর্ড করেন।
১৪ জন আসামির পক্ষে ৯ জন আইনজীবী জেরা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।