রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক হত্যাকাণ্ডে নতুন অগ্রগতি—মূলহোতা জরেজুল ইসলামের পর এবার তার প্রেমিকা শামীমাকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। জাতীয় ঈদগাহের কাছে ড্রামে ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক তিন দিন আগে বন্ধু জরেজুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় আসেন। কিন্তু সেই বন্ধুই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ ২৬ টুকরো করে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রামে ফেলে রাখে—এমন তথ্যের ভিত্তিতেই এগোচ্ছিল তদন্ত।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে জরেজুলের প্রেমিকা শামীমাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী। র্যাব-৩ জানায়, শামীমাকে গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে জরেজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে আশরাফুলের বোন শাহবাগ থানায় জরেজকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে প্রেম-সম্পর্ক, ব্যবসা ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব—সবদিকই খতিয়ে দেখছে র্যাব ও পুলিশ।
স্বজনরা আরও জানান, আশরাফুল ছিলেন কাঁচামালের ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে বন্ধু জরেজের সঙ্গে বাড়ি থেকে ঢাকায় যান আশরাফুল হক। পরদিন বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিহত আশরাফুল হক (৪২) রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে মো. আব্দুর রশিদের ছেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



