জুমবাংলা ডেস্ক: দ্য সিটি, এক্সিম ও এবি ব্যাংকের পর এবার কর্মীদের বেতন-ভাতা কর্তন করল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির কর্মীদের বেতন-ভাতা ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্তন করা হয়েছে। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বেতন কমিয়ে আনা হয়েছে ৮ লাখে।
তবে অন্য ব্যাংকের তুলনায় ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা পর্ষদ সভায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো সম্মানী গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল বেলা ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিচালনা পর্ষদের মেমোতে বলা হয়, বেতন-ভাতা কমানোর পাশাপাশি কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট ও ইনসেনটিভ বোনাস ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের কর্মী নিয়োগও। পর্ষদ সভায় ব্যয় কমাতে প্রায় ১৫টি প্রস্তাব পাস হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা পরিপ্রেক্ষিতে কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যাংক সচল রাখার জন্যই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পর্ষদ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাসে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন-ভাতা পান এমন কর্মীদের বেতন কর্তন করা হবে না। ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বেতন পান এমন কর্মীদের বেতন কমানো হয়েছে ১০ শতাংশ। ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পান এমন কর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
২ লাখ টাকার বেশি বেতন-ভাতা পান এমন কর্মকর্তাদের বেতন কমানো হয়েছে ২০ শতাংশ। উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরতদের বেতন-ভাতা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
আর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরীর বেতন-ভাতা কমিয়ে ৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।ব্যয় কমাতে আরো যেসব সিদ্ধান্ত ব্যাংকটি নিয়েছে সেগুলো হলো ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের নতুন শাখা খোলা বন্ধ থাকবে। তবে উপ-শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং খোলা যাবে। একই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্যাংকের স্থায়ী সম্পদ ক্রয় (ভূমি ও দালান)। কর্মীদের স্থানীয় প্রশিক্ষণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে। যখন সম্ভব হয় শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আয়োজন করা যাবে। তবে বিদেশী প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকবে আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে কভিড-১৯সংক্রান্ত সিএসআর কার্যক্রম করা যাবে। এছাড়াও শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, অবশিষ্ট সব ধরনের সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সব ধরনের ম্যানেজার কনফারেন্স ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় করতে হবে। এ ধরনের সম্মেলনে অনলাইন খরচ ছাড়া অন্য কোনো খরচ করা যাবে না।
এছাড়া বড় ধরনের সব খরচ আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আইটিসংক্রান্ত সব ধরনের প্রয়োজনীয় খরচ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে করা যাবে। ব্যাংকের সব ব্যয় ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে। প্রধান নির্বাহীসহ কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলেই তার স্টাফ হাউজ বিল্ডিং ঋণের বিপরীতে মাসিক কিস্তি বেতন-ভাতা থেকে কর্তন স্থগিত রাখতে পারবেন।
সব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা বলা হলেও পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার সব সুবিধা বহাল হবে বলে জানিয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পর্ষদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।