জুমবাংলা ডেস্ক : কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে করা প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর বিষয়ে মতামত জানতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে, বিতর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশের ১০ দিন পর আদালতে আসার জন্য রিটকারী আইনজীবীকে ভৎসনা করা হয়েছে।
হাইকোর্ট রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আল জাজিরার প্রতিবেদনটি ১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়, যা গেল ৯ দিনে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ দেখেছে। আর আপনি ১০ দিন পর আদালতের কাছে এসেছেন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে এটি সরিয়ে নেওয়ার আদেশ নিতে। এত দিন কী করেছেন?
শুধু তাই নয়, আল জাজিরার প্রতিবেদনের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি কেন কিছু করেনি সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন হাইকোর্ট। বিটিআরসির পক্ষে থাকা আইনজীবী রেজা ই রাকিবকে হাইকোর্ট প্রশ্ন করেন, আপনাদের তো এ ধরনের কন্টেন্টের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুর্নিদিষ্ট আইন আছে। তাহলে আপনারা বা তথ্য মন্ত্রণালয় কেন কিছু করেনি।অতীতের বিভিন্ন সময় তো এ ধরনের ইস্যুতে আপনারা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তাহলে আল জাজিরা ইস্যুতে কেন আপনারা নিজেরা কিছু না করে আদালতের কাছে এসেছেন?
কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরায় সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদন ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিবাদী করা হয়েছে।
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে গত ১ ফেব্রুয়ারি আল-জাজিরায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।