জুমবাংলা ডেস্ক: ষড়ঋতুর রঙ্গমঞ্চে এখনও আসেনি হেমন্ত। ভরা বরষায় এবার ভাসেনি জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলা। শ্রাবণের আকাশ থেকে নামেনি বারিধারা। অনাবৃষ্টির আকাশ থেকে নেমে আসা খরায় পুড়েছে পুরো প্রকৃতি। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতের অভাবে কৃষক আমন চাষ করতে পারেনি। ফলে যে মাঠে থাকার কথা সবুজের সমারোহ, সেই মাঠ ধূ-ধূ করছে। তাই কার্তিকের নবান্নের দেশে এবার হয়তো ফসলভরা মাঠ সাজিয়ে আসবে না হেমন্ত।
দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরাসহ গোটা দেশের কৃষকদের মধ্যে যখন এমনই শঙ্কা, ঠিক তখনই ব্রি-ধান ৭৫ জাতের আমন ধান আশার আলো জ্বেলেছে বলে দাবি করেছে কৃষি বিভাগ।
জেলার তালা উপজেলায় আমন মৌসুমে ব্রি-ধান ৭৫ জাতের আগাম চাষ করে কৃষক রফিকুল ইসলাম সাফল্য পাওয়ায় এমনটি দাবি করেন কৃষি কর্মকর্তা সেতু ইসলাম। তিনি বলেন, আমনের আগাম জাত ব্রি ধান ৭৫ চাষ করে হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে ছয় টন করে ফলন হয়েছে।
তালার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেতু ইসলাম গতকাল কৃষক মো. রফিকুল ইসলামের জমিতে ব্রি-৭৫ জাতের ধান কর্তন পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ব্রি-ধান ৭৫ চাষে নতুন জাত হিসেবেও কৃষকেরা ভালো সাফল্য পাচ্ছেন।
কৃষক রফিকুল বলেন, আমি যে কোনো নতুন কৃষি প্রযুক্তি সবার আগে ব্যবহার করার চেষ্টা করি। এবারও ব্রি-ধান ৭৫ জাত আগাম রোপণ করি। এতে ভালো ফলন পেয়েছি। হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে ৬ টন ফলন হয়েছে। তিনি জানান, এবছর আমি প্রায় ৬ বিঘা জমিতে ব্রি-ধান ৭৫ জাতের ধান রোপন করেছি। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। পোকামাকড়ের বালাই নেই আর সুগন্ধি জাতের এ ধান চাষের পরও সরিষা চাষের সুযোগ থাকে।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, এবছর তালা উপজেলায় ৭৪০ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ৭৫ জাতের আবাদ হয়েছে। এধানের আয়ুষ্কাল কম হওয়ায়, ধান কেটে কৃষকেরা দ্রুত তেলজাতীয় ফসলের আবাদ করতে পারেন। নতুন এই জাতের ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।