জুমবাংলা ডেস্ক : ৫ আগস্ট ২০২৪। দুপুর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে বিজয়োল্লাস। ছাত্র-জনতার অভূত্থানে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওইদিনের ভিডিওতে দেখা যায় নৃশংসতার খণ্ডচিত্র। কাঠের ভ্যানে কয়েক স্তরে মরদেহ। তার ওপর গুলিবিদ্ধ আরও একজনকে ধানের বস্তার মতো ছুড়ছেন দু’জন।
ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং সাইটের পাশাপাশি অনুসন্ধান চালায় যমুনা টেলিভিশন। জানা যায়, ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনের সড়কে ঘটেছে এ বর্বর ঘটনা।
সেদিন ভ্যানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ৬টি মরদেহ তোলা হয়। এদের মধ্যে শনিবার বিকেল পর্যন্ত চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন সজল, তানজিল আহমেদ সুজয়, বাইজিদ ও সবরু হুমায়ুন। তাদের মরদেহ বুঝে পেয়েছেন স্বজনরা। অন্য দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে সাভারে কর্তব্যরত ছিলেন ঢাকা জেলার তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে নেয়া হয় ডিবি অফিসে।
জানা গেছে, ২৯ তম বিসিএসের কর্মকর্তা কাফী, সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন। সেসকল হামলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক।
উল্লেখ্য, আশুলিয়ায়, ভ্যানের ওপর মরদেহের স্তূপের ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুইদ বলেছিলেন, ভাইরাল ভিডিওটি পর্যালোচনা করে ঘাতকদের চিহ্নিত করা হয়েছে । তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।