জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার অনুযায়ী রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করারর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ তিন জোন চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
করোনা মোকাবেলায় দেশের যে বিশেষজ্ঞ কমিটি, তারা রেড জোনে ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সবকিছু বন্ধের সুপারিশ করেছেন। সরকারও তেমনটাই ভাবছে। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটি থাকলেও মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ঘরে রাখা যায়নি। তাই এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে রেড জোনে ‘যে কোনো ব্যবস্থা’ নেবে পুলিশ। এই জোনে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে পারবে না, ভেতর থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
এ ব্যাপারে করোনা প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বলেন, শেষ সুযোগ হিসেবে এখনও আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। করোনার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। আমরা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছি- যেসব ওয়ার্ডে ৪০ জনের বেশি আক্রান্ত সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা। রেড জোনে ওষুধের দোকান ছাড়া কিছু খোলা থাকবে না। কেউ মাস্ক না পরলে দৃষ্টান্তমূলক জরিমানা আদায় করতে হবে।
এমন আরো কিছু পরামর্শ আছে, কর্তৃপক্ষ প্রায় সবগুলোর ব্যাপারেই ইতিবাচক।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০ উপজেলাকে রেড জোন বা পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হচ্ছে। ইয়েলো জোন বা আংশিক লকডাউন দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর গ্রিন জোন বা লকডাউন নয় দেখানো হচ্ছে একটি জেলা এবং ৭৫টি উপজেলাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।