বাংলাদেশের বাজারে আসছে ভারতের চাল। গত সপ্তাহ থেকে দিনাজপুরের হিলি ও বেনাপোল স্থলবন্দরসহ সীমান্ত থেকে ভারতীয় চাল বাজারে আসছে। এতে দাম কমার প্রত্যাশা করছে ক্রেতা ও বিক্রেতা।
রাজধানীর রামপুরা, কারওয়ান বাজার, মধুবাগ ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে দেশের চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে চলতি বছরের শুরুতেই আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় সরকার। ফলে আমদানি করা চালের দাম তুলনামূলক কম হওয়ার কথা বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও বাজারে দামের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে আমদানি প্রক্রিয়া সহজতর ও পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে, এতে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ ভোক্তারা তখন কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকা, আটাশ বালাম ৬৫-৬৮ টাকা, স্বর্ণা মোটা চাল ৫৬-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা, বাসমতী ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
যার বিপরীতে খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম কেজি প্রতি ৭৮-৮৫ টাকা, আটাশ বালাম কেজি প্রতি ৬৫-৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা, স্বর্ণা মোট ৫৫-৬০ টাকা, পাইজাম ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, বাসমতী ৯৫-১২০ টাকা ও চিনিগুঁড়া ১৩০-১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, চালের দাম বাড়েনি। যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। গত তিন-চার মাস ধরে প্রায় একই দামে বিক্রি করছি। তবে ভারতীয় চাল আসা শুরু করেছে, ওই সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে।
আর রামপুরার এক বিক্রেতা মাহবুব বলেন, গত কিছুদিন ধরেই চালের বেশি দামে চাল বিক্রি করছি। নতুন করে বাড়েনি, আবার কমারও লক্ষণ পাচ্ছি না। শুনছি আমদানি করা চাল বাজারে আসছে। যদি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়, তাহলে কমতে পারে দাম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম। শহরাঞ্চলে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ২৮৪ দশমিক ৭ গ্রাম। সব মিলিয়ে ১৭ কোটির মানুষের প্রতিদিনের হিসাব ধরে বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টন চাল। সেখানে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে চালের চার কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদন করে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।