জুমবাংলা ডেস্ক : আসছে বাংলা ১৪৩২ সন। দিনকয়েক বাদেই পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই। চলছে ভোজনরসিক মাছে-ভাতে বাঙালির ইলিশ-পান্তা খাওয়ার তোড়জোড়ও।
পহেলা বৈশাখ ঘিরে তাই রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ইলিশের বেচাকেনা। দাম ঈদের আগের তুলনায় খানিকটা কমলেও, বৈশাখের চাহিদাকে পুঁজি করে এখনো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই।
বিক্রেতারা বলছেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বাজারে বেড়েছে ইলিশের বেচাকেনা। তবে দাম আগের তুলনায় খানিকটা কম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. সাইফুর ইসলাম বলেন, জেলেদের জালে ইলিশ খুব কম ধরা পড়ছে। তবে পহেলা বৈশাখের আগে হিমায়িত ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু চাহিদা বাড়ায় দাম এখনো চড়াই রয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,৮০০-২,০০০ টাকায়।
এ ছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২,৫০০ টাকা, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২,২০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১,৬০০-১,৭০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১,৩০০-১,৪০০ টাকা পর্যন্ত।
আরেক বিক্রেতা হেদায়েত বলেন, পহেলা বৈশাখ ঘিরে চাহিদা বাড়ায় বেচাকেনা বেড়েছে। বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম চড়া। প্রতি কেজি দুই হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য এলাকার ইলিশ কিছুটা কম দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, এমনিতেই ইলিশের দাম চড়া। পহেলা বৈশাখ ঘিরে সেটি আরো বেড়েছে। নাবিল নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে পদ্মার ইলিশ নেই বললেই চলে। যা-ও মিলছে, সেগুলোর দামও চড়া। অন্যান্য এলাকার ইলিশে তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না, তাই পদ্মার ইলিশের চাহিদা বেশি।’
আরেক ক্রেতা অর্ণব বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে পরিবারের সবার সঙ্গে মিলে পান্তা-ইলিশ খাব, তাই ইলিশ কিনতে এসেছি। তবে বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম চড়া।’
ইলিশের বাজারের যখন এই হাল, তখন ঘাম ঝরাচ্ছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮৬-৯০ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৬-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।