জুমবাংলা ডেস্ক : ‘মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি আর শেরম্যান আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এমনটি প্রত্যাশা করেছেন। জবাবে আমি বলেছি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কিন্তু নির্বাচনে কে আসবে বা আসবে না সেটি দল ও রাজনৈতিক ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে রাজনৈতিক দলগুলোর চালিকা শক্তি ও সঠিক নেতৃত্ব নেই, জনগণের কাছে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে না। তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে আনক্লোজ সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেটের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। এ বিষয়ে আমি বলেছি, আগের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কমিশন গঠনকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সব স্টেকহোল্ডারদের আমন্ত্রণ জানান। একটি সার্চ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় কিছু দল বা ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেনি। আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, আসন্ন নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সম্মানজনকভাবে সবকিছু তাদের অবহিত করি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ মুক্তহস্তে হস্তক্ষেপ করবে। আমি এ সংবাদ সম্মেলনে আবারও বলছি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কতটুকু বলবেন এটি তাদের দেশে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা যতটুকু করতে পারেন, দয়া করে তার বাইরে যেন না যান। ওইসব রাষ্ট্রে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা তেমন কিছুই বলতে পারেন না। আমরা অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিথিপরায়ণ ভেবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দরজাগুলো খোলা রাখি, এটির যেন অপব্যবহার না করেন। যদি করেন তাহলে আমাদের অন্য কিছু ভাবতে হবে।
বিএনপির মতো বড় দল নির্বাচনে না আসলে সেটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার বলেন, গ্রহণযোগ্যতা ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল, সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১১ অক্টোবর ২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে ১৮৯টি ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬০টি ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক এ বিজয় অর্জন করেছে। এ ফলাফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার উন্নয়ন এবং সুরক্ষায় বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির বহির্প্রকাশ। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এ বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশে ও বিদেশে অপপ্রচার যে মিথ্যা এটি প্রমাণ হয়েছে।
আমি ৭ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি আর শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছি। আমি র্যাব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যত দ্রুত তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এ সময় তিনি সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরম পন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন। ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় স্থান পায়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।
গাইবান্ধা উপনির্বাচনে কি কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।