আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানের জনবসতিহীন ইয়ানাহা দ্বীপ কিনেছেন চীনা এক নারী। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, দ্বীপটি ব্যক্তিগত মালিকানায় কেনা হলেও এটা চীনের সম্প্রসারণবাদ পরিকল্পনারই অংশ। খবর জাপান টাইমসের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চীনা নারীর বয়স ৩০ বছর। তবে তার নাম জানা যায়নি। চীনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীর এক আত্মীয় টোকিওর এক কনসাল্টিং ফার্মের মালিক। ওই সংস্থার সাহায্যেই ওকিনাওয়া প্রদেশের আওতাধীন ইয়ানাহা নামে জনবসতিহীন দ্বীপটি কিনেছেন তিনি। ওকিনাওয়ার প্রধান দ্বীপটির উত্তরে অবস্থিত ইয়ানাহা দ্বীপ।
জাপান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ওই ইয়ানাহা দ্বীপটির একাংশের মালিক টোকিওর ওই কনসাল্টিং ফার্ম। তবে দ্বীপটির রক্ষণাবেক্ষণ করে ওকিনাওয়ার ইজেনা গ্রাম কার্যালয়। তারা জানিয়েছে, দ্বীপটির প্রায় ৫০ শতাংশের মালিক টোকিওর সংস্থাটি। তবে এর সৈকতের বেশির ভাগই স্থানীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে চীনা নারী ইয়ানাহা দ্বীপে তার প্রথম সফরের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তার সঙ্গে নৌকায় দ্বীপটিতে গিয়েছিলেন ইজেনা দ্বীপের এক বাসিন্দা ও আরেক নারী।
ইজেনা দ্বীপের ওই বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা নারী কয়েক ঘণ্টা ইয়ানাহা দ্বীপে ছিলেন। গোটা যাত্রাপথের ছবি ও ভিডিও তুলেছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্ট অনুযায়ী, ওই নারী চীনের শানডং প্রদেশের কিংদাও শহরের বাসিন্দা। ২০২০ সালে ইয়ানাহা দ্বীপটি তিনি কিনেছেন বলে দাবি করেন।
এই দ্বীপটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাদেনা বিমানঘাঁটি মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে। দ্বীপটি থেকে সহজেই কাদেনা বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো যেতে পারে।
ইয়ানাহা দ্বীপের মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। দ্বীপটি ক্যাম্পিং এবং মাছ ধরার জন্য জনপ্রিয়।
চীনের নিয়মানুযায়ী, কোনো ব্যক্তির কাছে জমির মালিকানা থাকতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে একজন নারী একটি দ্বীপ কিনে ফেলেছেন, সেই বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা চীনা নারীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এমনকি কেউ কেউ পূর্ব চীন সাগরে টোকিও নিয়ন্ত্রিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ কেনার আহ্বান জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।