আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ ) সংবাদদাতা : পুরো এক বছর শিক্ষার্থীরা কোনিদন কি পড়বে তার একটি পরিকল্পনা হাতে পেয়ে উত্ফুল্ল আড়াইহাজার উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। নতুন এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরো মনোযোগী করে তুলেছে। পরিবর্তন এসেছে আড়াইহাজার উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রে। একইদিনে একই পাঠদান পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে। উপজেলার ২৮টি অনুমতিপ্রাপ্ত হাইস্কুল ও অনুমতিবিহীন ১৮টি স্কুলের মোট ৩০ হাজার ৩৯৬ শিক্ষার্থী সমন্বিত পাঠদান কর্মসূচির আওতায় মেধা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেনের পরিকল্পনায় পাঠ পরিকল্পনাটি সম্পাদনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে এম আলমগীর হোসেন।
আড়াইহাজার উপজেলা সদরে অবস্থিত আলহাজ শাহজালাল মিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ‘আমার বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা নামে’ এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উজ্জল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে এম আলমগীর হোসেন, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. শাহজাহান ও আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব সভাপতি মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন জানান, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি উপজেলা পর্যায়ে ভালো স্কুলগুলোতে নিয়মিত পাঠদান করা হয়। কিন্তু দূরবর্তী ইউনিয়নে এবং প্রান্তিক পর্যায়ের বিদ্যালয়সমূহে যথাযথ তদারকির অভাবে অনেক সময় পুরো সিলেবাস পড়ানো হয় না। সকল বিদ্যালয়ে সহপাঠ্যক্রম যেমন: উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিদ্যালয় পরিচ্ছন্নতা, রচনা প্রতিযোগিতার মতো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় না। এজন্য আমরা পাঠ পরিকল্পনায় এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি, যেগুলো উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবে।
সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন এখানে যোগদানের পর থেকেই উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে তিনি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে চমত্কার একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুন নাইম বলেন, বাত্সরিক পাঠ পরিকল্পনা থাকায় আমরা জানতে পারছি, আগামীকাল কী পড়ানো হবে, ফলে আমরা বাসায় প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলে আসতে পারছি।
কালাপাহাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র ঘোষ জানান, শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা থাকলেও বাংলাদেশের কোথাও বছরের প্রতিটি দিনের শিক্ষা কার্যক্রমের পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়নি। ফলে একেক স্কুল একেকভাবে তাদের পাঠদান করত। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগের ফলে আড়াইহাজার উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী একই ধরনের পাঠ অধ্যয়ন করবে এবং সমভাবে এগিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।