জুমবাংলা ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যিনি আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচক, কোনো সময় আ.লীগকে ভোটও দেননি, তিনি যদি প্রকৃতপক্ষে অভাবি হন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নতুন পঞ্চাশ লাখ রেশনকার্ডে তার নামও অন্তর্ভুক্ত হবে।
তিনি বলেন, সরকার গত কয়েক বছর ধরে পঞ্চাশ লাখ পরিবারের মধ্যে মাসে ৩০ কেজি করে ১০ টাকা দরে চাল দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নতুনভাবে যে পঞ্চাশ লাখ রেশনকার্ড করা হবে সেগুলো প্রকৃতপক্ষে যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্য থেকেই করতে হবে। এই কার্ডটি করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে একটু সতর্ক হতে হবে। এ ধরনের কার্ড করার সময় কোনো দলীয় পরিচয় বিবেচনা করা যাবে না। যার প্রয়োজন তাকেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে দলমত নির্বিশেষে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। সেভাবেই তালিকা করতে হবে। কারণ একজন মানুষও অভাবে থাকুক সরকার সেটা চায় না।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় প্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণসহ নানা বিষয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরপর তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও এসব বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আসলাম খাঁন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, দলের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হারুন, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সরকারি দল। তাই আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সরকারি দল হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই পালন করছে। এক মাস দেশের সবকিছু বন্ধ। তারপরও আল্লাহর রহমত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে এখন পর্যন্ত একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।
পরে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।