জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হচ্ছে- এমন অভিযোগ এনে উপজেলা ছাত্রদল বিক্ষোভ করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার পর থেকে ১১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট (৪৮), যুবদল নেতা শিপন (৪২), রকিবুল হাসান ব্রাইট (৩৭), ছাত্রদল নেতা আরিফ (২৭), মামুন (২৫), মিতুসহ (২৩) প্রায় ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় ৫ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দর্শনা কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আরাফাত রহমান ও দর্শনা কলের ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ থানা ছাত্রদলের নেতাদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন দেন এবং কেরু কোম্পানিতে যান। অপরদিক থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাফিজুর রহমানের সমর্থকরা মোটরসাইকেল শোডাউন বের করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাস্টারের নেতাকর্মীরা পৌঁছলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুরু হয় ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও হামলা। সংঘর্ষের সময় আশপাশের বেশকিছু দোকান, বাড়িঘর ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। শহরের মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকল শোডাউনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংঘর্ষ সম্পর্কে দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আরাফাত রহমান বলেন, কেরুর রাজনীতি ঘিরে কিছু সুবিধাবাদী বিএনপির ছত্রছায়ায় দর্শনায় প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলাম। আমাদের নেতারা এভাবে আমাদের ওপর হামলা এবং বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাটে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হবে- এটা আমরা কখনো চাই না।
দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, রাত ৮টার দিকে রেলবাজার শাহরিয়া মুক্তমঞ্চের সামনে যখন দুপক্ষের ভিতর তর্ক-বিতর্ক চলছিল। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করি। একপর্যায়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। দর্শনা পৌর বিএনপির নিজেদের মধ্যে কোনো মারামারির ঘটনা প্রত্যাশা করি না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই।
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এজাহার দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে। পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।