জুমবাংলা ডেস্ক : গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার চায় বিএনপি। তবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়ার পক্ষে দলটি। যমুনা নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জুলাই বিপ্লবে দেশজুড়ে গণহত্যার দায়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এমন প্রেক্ষাপটে দাবি ওঠে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের। ছাত্র-শ্রমিক জনতার ব্যানারে দাবি তোলা হচ্ছে, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের। এসব দাবির বিষয়ে জানতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, জনগণই হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ামক। নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন। গণহত্যার জন্য অবশ্যই বিচার হতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সঠিকভাবে বিচার হচ্ছে। তবে এটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে।
সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের কারও কারও বক্তব্যে আসছে, এক-এগারো সরকারের অভিজ্ঞতার কথা। তাহলে ‘মাইনাস’ রাজনীতির শঙ্কা কি এখনও আছে দলটির?
এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বড়ভাবে পড়েছে। সেই জায়গা থেকে বিরাজনীতিকরণের একটি প্রক্রিয়া হয়েছে। অনেকে আবার সেই লাইনে চিন্তাও করেন। তবে আমার মনে হয়, এই আন্দোলনগুলো বিশেষ করে আমাদের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে এসব প্রচেষ্টা-চক্রান্তের বেশিরভাগই পরাজিত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের মতে, ফ্যাসিবাদী শক্তির পতনের পরও দেশ সংকটমুক্ত নয়। যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশ ও জাতির মঙ্গল। যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ হওয়া যাবে, তত দেশ-জাতি লাভবান হবে। এখন যত সংকট তৈরি হচ্ছে, সেগুলো নির্বাচিত সরকার ভালোমতো সমাধান করতে পারবে।
এক এলাকায় ৩৬টি ইটভাটার ছাড়পত্র কীভাবে, জানতে চান পরিবেশ উপদেষ্টা
সংস্কার ও নির্বাচনের দাবি সাংঘর্ষিক নয়। রাজনৈতিক ঐক্যমত ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ নিয়ে তার বক্তব্য, ব্যাপারটা কোনো সাংর্ঘষিক না। আমরা তখনও বলেছিলাম সংস্কার প্রয়োজন, তাই তো আমরা ৩১ দফা দিয়েছিলাম। সূত্র : যমুনা নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।