জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামীলীগের নিষিদ্ধকরণের দাবি। প্রতিবাদে সজ্জিত একদল যুবকের কল্যাণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাল্টে গেছে। গত শুক্রবার রাতে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন বিক্ষোভ চিত্রিত করছিলো একটি নতুন রাজনৈতিক আবহ। শিক্ষার্থীরা নিজেদের কণ্ঠস্বরকে উদ্যাপন করতে এবং তাদের অধিকার আদায়ের প্রয়াসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছিল। এই আন্দোলনটি শুধু একটি রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি একটি প্রজন্মের হৃদয় থেকে উঠে আসা ক্ষোভের প্রতিফলনও।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিশ্লেষণ
শুক্রবার রাত ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর!”— এই স্লোগান প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। আন্দোলনে নানা বয়সের হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যারা নিজেদের ভবিষ্যৎ এবং দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন।
Table of Contents
নতুন রেজিস্ট্রার ভবন থেকে শুরু করে শহীদ মিনার, অমর একুশে প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ মিছিল চলে গিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে দাঁড়ায়। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি আরও দৃঢ়তার সাথে বলছে যে, আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে এবং তারা এতে আর কোনো আপস করতে প্রস্তুত নয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অবরোধের সময় কিছু শিক্ষার্থী ক্যামেরার দিকে মুখ করে বলছেন, “এই দেশে আওয়ামী লীগকে আর প্রশাসনে বা রাজনীতিতে মূল্যায়ন করা হবে না।”
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংকেত, কারণ তারা মনে করেন যে সরকার এই দাবির দিকে সঠিক দৃষ্টি দেয়নি। আন্দোলনের মুখপাত্র হিসেবে উঠে আসা শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, “আমরা কোনো প্রহসন চাই না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন আমাদের জীবনের প্রশ্ন।”
আন্দোলনের পেছনে ইতিহাসের ছোঁয়া
জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান দলের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অনেক অপকর্মের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্ররা দৃঢ়ভাবে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন যে, আইন অমান্য করে হলেও তারা এই দাবি আদায় করতে চায়। বিশেষ করে, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার ওপর যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে, এই আন্দোলনে ঘটনাক্রমে শিক্ষা ও রাজনীতি মিলিত হতে দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছেন না, তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব বুঝছেন। ধর্মচর্চা ও মানবতার প্রতি আস্থা বজায় রাখার জন্য এই আন্দোলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কালচার তাদের জীবনে ইতিহাসকে বদলে দিতে পারে। ইতিহাসের চর্চা এবং সত্যের অনুসন্ধানে এই আন্দোলন জীবন ধারণ করছে।
শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পদক্ষেপ
এই বিক্ষোভের সমাপ্তিতে ছাত্ররা বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেন। তারা জানান, যেখানে সরকার তাদের কথা শুনছে না, তারা পাবলিকের সমর্থন পেতে আরো বড় কর্মসূচী হাতে নিতে প্রস্তুত। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, “যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও জোরদার করবো।”
এই অবরোধ এবং প্রতিবাদ কেবল রাজনৈতিক অভিযোগ নয়, বরং এটি দেউলিয়া আইনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের এক পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার চাই। ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি পত্রে লিখিত দাবি পাঠানো হচ্ছে এবং সেই দাবি কার্যকর করার জন্য তারা প্রকাশ্যে মাধ্যমগুলোতে প্রচার করার কথা ভাবছেন। এটি তাদের এক নতুন দায়িত্ব এবং নতুন রাজনীতির সূচনা।
FAQs
1. কেন আজকের আন্দোলন অনুষ্ঠিত হলো?
আজকের আন্দোলন অনুষ্ঠিত হলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণের দাবিতে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন যে, এই দলটি জাতির জন্য ক্ষতিকর এবং তার দ্বারা বর্তমান সরকারের legitimacy প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
2. শিক্ষার্থীরা কি ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন?
শিক্ষার্থীরা “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর!” এবং “আগুন জ্বালো” মত স্লোগান দিচ্ছেন, যার মাধ্যমে তারা সরকারকে তাদের দাবির প্রতি উৎসাহিত করতে চান।
3. আন্দোলনে কতজন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন?
কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, যারা প্রকৃত অর্থে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
4. আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য কি?
আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য হলো আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে বাদ দেওয়া এবং ন্যায়বিচারের জন্য দাবি করা।
5. আন্দোলনের ফলাফল দেখতে কি তাদের পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, শিক্ষার্থীরা আগামীতে আরো বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে তারা দেশের সাধারণ জনগণের সমর্থন আহ্বান করবেন।
6. আন্দোলনের জন্য সরকারের কি পদক্ষেপ প্রয়োজন?
সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি শুনতে হবে এবং আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে তারা হত্যা এবং অন্যায় কার্যক্রমের জন্য বিচার পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।