স্পোর্টস ডেস্ক: অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ চলাকালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত জানান স্টুয়ার্ড ব্রড। ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো বোলিংও করেন তিনি। কিন্তু শুরুর দিকে প্রতিপক্ষকে সে অর্থে ভোগাতে পারছিলেন না। তবে ঠিকই ঝলক দেখিয়েছেন, আর সেটাও কার্যকরী সময়েই। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অষ্টম উইকেটে ৩৮ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ছিল অস্ট্রেলিয়া, আর এই জুটিই ভেঙেছেন অসাধারণ এক ডেলিভারিতে। এরপর শেষ উইকেটও তারই ঝুলিতেই পুরেছেন। সহজ করে বললে, নিজের মতো করেই শেষটা রাঙালেন ব্রড। আর এতে মর্যাদার এসেছে হার এড়ালো ইংলিশরা।
সোমবার (৩১ জুলাই) ওভাল টেস্টের শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের দেওয়া ৩৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় অজিরা।
তবে শেষ পেরেকটা ব্রড ঠুকে দিলেও এই ম্যাচে জয়ের মূল নায়ক মঈন আলী ও ক্রিস ওকস। তারাই মূলত অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে ধসিয়ে দেন। যদিও লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত এক শুরুই করেছিল অজিরা। কোনো উইকেট না হারিয়েই ১৩৫ রান করে ফেলেছিল তারা। তবে শেষ দিনে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখছে ওয়ার্নার-স্মিথরা।
পঞ্চম ও শেষ দিনে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান যোগ করতেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ডেভিড ওয়ার্নারকে ফাঁদে ফেলেন ওকস। উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৬০ রানে ফেরেন ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক অপরাজিত ব্যাটার উসমান খাওয়াজাকেও ফেরান এই পেসার। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পরে ৭২ রানে ফিরেন এই ওপেনার।
এক রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে অজিরা। এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। তবে লাবুশেনও দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। মার্ক উডের বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে দ্বিতীয় স্লিপে জ্যাক ক্রলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ট্রাভিস হেডকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন স্মিথ। তাদের ৯৫ রানের অনবদ্য জুটি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল অজিদের। তবে অজিদের জয়ের স্বপ্ন চুরমার করে দেন চলতি সিরিজেই অবসর থেকে ফিরে আসা মঈন আলী। ভাঙেন এই জুটি। স্লিপে রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ফেরেন হেড। পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ৫৪ রানে সাজঘরে ফেরেন স্মিথও।
এরপর এক রান ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারিয়ে বসে অজিরা। মঈন আলীর ঘূর্ণিতে মিচেল মার্শ (৬) ও রানের খাতা খোলার আগেই ওকসের বলে ফেরেন মিচেল স্টার্ক। এরপর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৯ রানে মঈনের ঘূর্ণির ফাঁদে কাঁটা পড়েন তিনিও।
শেষ দিকে অজিদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন অ্যালেক্স ক্যারি ও টড মার্ফি জুটি। এরপরই জাদুকরের ভূমিকায় ব্রড। এই ব্যাটারকে উইকেটকিপার বেয়ারস্টোর ক্যাচে পরিণত করে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ব্রড। ২৮ রান করেন ক্যারি।
ইংলিশদের হয়ে ৫০ রান খরচায় ওকস ৪ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া ৭৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন মঈন আলী। আর ব্রডের শিকার দুই উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।