আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বৃহস্পতিবার ইউক্রেন ও মলদোভাকে ইইউর সদস্যপদ পেতে ‘আনুষ্ঠানিক প্রার্থী’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ কিছু সংস্কার এনে ইউরোপীয় মানে পৌঁছতে পারলে দেশ দুটি পূর্ণ সদস্য হতে পারবে৷ এতে কয়েক বছর লাগতে পারে৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল এই ঘোষণা দেন৷
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর চার দিনের মাথায় ইইউর সদস্য হতে আবেদন করে ইউক্রেন৷
এরপর ইইউর পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে একটি প্রশ্নমালা দেয়া হয়েছিল৷ ইউক্রেন যে উত্তর দিয়েছে তা গত সপ্তাহে অনুমোদন করেছিল ইউরোপীয় কমিশন৷
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইইউর সিদ্ধান্তকে ‘অনন্য ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন৷
মলদোভার প্রেসিডেন্ট মায়া সান্ডু এই সিদ্ধান্ত ‘মলদোভা ও তার নাগরিকদের প্রতি শক্ত সমর্থনের সংকেত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস টুইট করে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, তিনি নিশ্চিত যে ইউক্রেন ও মলদোভা দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করবে৷ ‘‘আমি নিশ্চিত আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সবাইকে শক্তিশালী করবে,’’ বলেন তিনি৷
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
নর্থ মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি
২০০৫ সালে নর্থ মেসিডোনিয়া ও ২০১৪ সালে আলবেনিয়াকে ‘আনুষ্ঠানিক প্রার্থী’ করেছিল ইইউ৷ কিন্তু এখন তাদের সদস্য করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ইইউ নেতারা৷ এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন নর্থ মেসিডোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডিমিটার কোভাচেভস্কি৷ তিনি বলেন, ‘‘যা হয়েছে সেটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর মারাত্মক আঘাত৷’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।