জুমবাংলা ডেস্ক : রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের কিশোরী, যুবক এবং নারীর ক্ষমতায়নে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলকে কোরিয়ান সরকার ৩০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে বসবাসকারী যুব-কিশোরীদের উন্নয়নে সহায়তাও করবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রাথমিক ও জোরপূর্বক বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়াই : নিরাপদ স্থানে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা যুব ও নারীর ক্ষমতায়নে আর্থিক সহায়তায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলকে এই অর্থ প্রদান করবে কোরিয়া। এ বিষয়ে ঢাকায় কোরিয়া দূতাবাসে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কিশোর এবং যুবকদের দক্ষতা, জ্ঞানার্জন, বাল্যবিয়ে রোধ এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকি মোকাবিলার পাশাপাশি এবং তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়েও সচেতনতা তৈরি করা হবে।
কক্সবাজার, ভাসান চর এবং আশপাশের বাংলাদেশে বসাবাসকারী শরণার্থীদের জন্য বাল্যবিয়ে এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ঝুঁকি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে। এর ফলে ৮টি শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা যুবকরা উপকৃত হবে। এই উদ্যোগ রোহিঙ্গা মেয়ে ও নারীদের পুনঃব্যবহারযোগ্য মাসিক দ্রব্য তৈরি এবং মাসিক কাপ চালু করবে।
এআই প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে বলেন, ইউএনএফপিএ এবং কোরিয়ার নেতৃত্বে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, ইউএনএফপিএর সঙ্গে কোরিয়ার নতুন অংশীদারিত্ব এই বার্তা দেয়, কোরিয়ান সরকার নারী ও মেয়েদের সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে। মানবাধিকার ও লিঙ্গ সমতার প্রতি দেশটির দৃঢ় ও ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।