জুমবাংলা ডেস্ক : মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একটি ফেসবুক পোস্টে ভাগ্যের পরিবর্তন হতে চলেছে ওই উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ভ্যানচালক ইসলাম শেখের।
দ্রুত তিনি পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের একটি ঘরসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওসমান গনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সোনাপুর গ্রামে যান। এ সময় তিনি করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গকারী ওই গ্রামের ভ্যানচালক ইসলাম শেখের বাড়ি ও পরিবারের লোকজনকে দেখে বিস্মিত হন।
তিনি দেখেন, একটি মাত্র বেড়ার কুড়ে ঘরে বিয়ের উপযুক্ত দুই কন্যা ও একপুত্রসহ স্বামী-স্ত্রী মিলে পাঁচ জন অমানবিকভাবে বসবাস করছেন ইসলাম শেখ।
ওই ঘরটুকুর মধ্যেই রান্না-খাওয়া ও থাকা-ঘুমানো। এর ওপর ভাঙাচোরা টিনের এ ঘরটির বেড়ার ফাঁক দিয়ে বিড়াল-কুকুর ও সাপ-পোকামাকড় সহজে ঢুকতে পারে। তাই ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানচালক ইসলাম শেখকে দেখে তিনি সাজা না দিয়ে ফিরে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার ফেসবুকে সচিত্র পোস্ট দেন ‘সাজা দেবো নাকি সাজা নেবো’ ?
তিনি ফেসবুকে এ কথাও লেখেন, তার নিকট থেকে জরিমানা আদায় না করে বরং কিছু টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। এছাড়া তিনি ওই পরিবারকে যতটুকু সম্ভাব্য সহযোগিতা দেওয়ার কথাও চিন্তা করেন।
এদিকে তার ফেসবুকের এ পোস্টটি ভাইরাল হয়। চোখে পড়ে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি’র। তিনি ভ্যানচালক ইসলাম শেখকে প্রধানমন্ত্রীর ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের একটি ঘরসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন।
এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প হতে ওই পরিবারকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।