নিজেস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকারের নির্দেশনায় মেনে শুরু থেকেই ঘরে আছেন আমানউল্লাহ (ছদ্ম নাম) নামের এক ব্যক্তি। কাজ করেন স্থানীয় একটি পোষাক কারখানায়।দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ৪ সদস্যের পরিবার তার।
দীর্ষ সময় ঘরে থেকে যা ছিল সব খেয়ে শেষ। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার তাই সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাত পাততেও পারছেন না। আবার পেটের ক্ষুদাও সহ্য করতে পারছেন না। তাই উপায়ান্তর না পেয়ে শনিবার (০৪ এপ্রিল) রাতে ইউএনও’র মোবাইলে ফোন দেন ওই ব্যক্তি। ফোন পেয়ে ইউএনও ওই ব্যক্তির জন্য নিয়ে গেলেন ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু ও ১ কেজি ডাল।
যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে চলবে প্রায় ১০ দিন। কথা দিলেন এ অবস্থা চলতে থাকলে ১০ দিন পর খাবার নিয়ে আবার আসবেন তিনি। ঘটনাটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িতে অবস্থান করায় সময় মতো কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক রুটিন মাফিক সর্বত্র খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
শনিবার (০৪ এপ্রিল) রাতেও ষষ্ঠ দিনের মতো উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া, চক জামালপুর, বাশাইর ও ঈশ্বরপুর গ্রামের ১০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু ও ১ কেজি ডাল দেওয়া হয়।
ইউএনও বলেন, স্থানীয় এমন অনেক পরিবার আছে যারা নিজের অবস্থার জন্যই প্রকাশ্যে খাদ্য সহায়তা নিতে চান না। তাদের জন্য অনুরোধ আপনারা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হবেন না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িতে অবস্থান করুন। আমাদের ফোন করুন সময় মতো আমরাই আপনার খাদ্য সহায়তা নিয়ে পৌঁছে যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।