
জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারীর পরনে ছিল পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। এ সময় তার সহযোগীর মুখ ঢাকা ছিল বলে জানিয়েছেন রংপুর পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য।
বুধবার রাত ৩টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে ইউএনও এবং তার বাবা ওমর আলীকে দুর্বৃত্তরা জখম করে। পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুরে পাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়। তার বাবা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইউএনও’র সরকারি বাংলোতে অবস্থান নিয়ে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানার চেষ্টা করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রংপুর বিভাগীয় পুলিশ প্রধান (ডিআইজি) দেবদাস ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা হবে। আমরা মামলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছি। আমরা এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যতগুলো ইউনিট আছে সবাই মাঠে নেমেছে এবং তদন্ত করছে। আমাদের এখন মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে ধরে আইনের আওতায় আনা’।
সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। এই মামলার যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনি সব বিষয় গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত পরিচালনা করবেন।
তবে সিসিটিভি ফুটেজে বাড়ির ভেতরে দুজনকে দেখা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ছিল পিপিই পরা আরেকজন মুখ ঢাকা। তবে এই দু’জন বা আরো বেশি কেউ ছিল কি-না এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা সিসিটিভি ফুটেজগুলো আরো ভালোভাবে দেখছি।’
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, ‘এই ঘটনায় কারা জড়িত তাদের দ্রুত ফাইন্ড আউট করে শাস্তির আওতায় আনব’।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হলো একটি জনবহুল গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে বিভিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। একটা ঘটনার জন্য সবার মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটে এটা হলো বাংলাদেশের যে উপজেলাগুলো আছে তার মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সেটা নিয়ে অন্যগুলোর সঙ্গে কম্পেয়ার করার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমার অন্য সহকর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করে যাবে। আর এটা কীভাবে ফাইন্ড আউট করা যাবে আমরা সেই প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



