Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home ইউএনও ওয়াহিদার বাসায় টাকা ছিল ৪০ লাখ, রবিউল নেয় ৫০ হাজার!
আইন-আদালত

ইউএনও ওয়াহিদার বাসায় টাকা ছিল ৪০ লাখ, রবিউল নেয় ৫০ হাজার!

Zoombangla News DeskSeptember 17, 20208 Mins Read
Advertisement

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাসায় নগদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা ছিল। ছিল স্বর্ণালঙ্কারও।

কিন্তু হামলাকারী রবিউল ইসলাম নিয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। বাকি টাকা আলমারিতে থাকায় রবিউল নিতে পারেনি। খোয়া যায়নি স্বর্ণালঙ্কারও।

জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছে, ইউএনও’র বাসায় নগদ টাকা আছে এটা সে ধারণা করেছিল। কিন্তু এত টাকা রয়েছে এই তথ্য তার জানা ছিল না। এছাড়া সে চেষ্টা করেও আলমারি খুলতে পারেনি। ক্ষোভ থেকে হামলা ও নগদ টাকা চুরির পরিকল্পনা করেছিল সে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং মামলা সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ইউএনও’র বাসার সাবেক মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রবিউল আলমারি খুলতে পারেনি।

সে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অচেতন করে ওয়্যারড্রোবের ওপরে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। যদি সে আলমারি খুলতে পারতো তাহলে হয়তো সব নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে যেত।

গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাসায় ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আহত করে।

বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হলে দুই দিনের মাথায় এলিট ফোর্স র্যা ব আসাদুল, নবিরুল ও সান্টু নামে তিন জনকে গ্রেফতারের পর তাদের জড়িত থাকার কথা জানায়।

চুরির উদ্দেশ্যে ওই বাসায় আসাদুল, নবিরুল ও সান্টু ঢুকেছিল বলে জানিয়েছিল র্যা ব। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পর গত ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ইউএনও অফিসের বরখাস্ত হওয়া মালি রবিউল একাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

একই সঙ্গে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধারের কথা জানান তিনি। পরে রবিউলকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় রবিউলের বাইরে আর কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করার ক্ষোভ থেকে হামলা করেছে বলে সে জানিয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে হামলার মোটিফ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলা যাবে।’

যেভাবে ইউএনও’র বাসায় ঢোকে রবিউল

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও’র বাসভবনের সাবেক মালি রবিউল ইসলামের বাড়ি বিরল উপজেলার ভিমরুল পাড়ায়। সকালে সাইকেল চালিয়ে সে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়।

সেখানে কাজ শেষ করে বেলা ১১টার দিকে শহরের ষষ্টিতলা মোড়ে মুরাদের সেলুনে যায়। সেখানে দীর্ঘ সময় সে মোবাইলে গেম খেলে। দুপুর দেড়টার দিকে মুরাদের কাছে ১০০ টাকা ধার চায় রবিউল।

কিন্তু মুরাদ টাকা ধার দেয়নি। রবিউল এ সময় মুরাদকে বিশেষ কাজে বাইরে যাওয়ার কথা বলে তার দোকানে সাইকেলটা রাখতে চায়।

মুরাদ তার দোকানে সাইকেল রাখার ব্যবস্থা নেই জানিয়ে পাশের আইনুলের গ্যারেজে সাইকেল রাখতে বলে। রবিউল এ সময় সাইকেল নিয়ে আইনুলের গ্যারেজে রাখে।

বিশেষ কাজে বাইরে যাওয়ার কথা বলে রাতে নাও ফিরতে বলে জানায় সে। আইনুল সাইকেল রাখার জন্য দিনে ১০ টাকা ও রাতে ১৫ টাকা দিতে হবে জানালে রবিউল তাতে রাজি হয়। বিকাল ৩টার দিকে শহরের ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে যায় সে।

রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে রবিউল তৃপ্তি পরিবহনে উঠে ঘোড়াঘাট রানীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে নামে।

সেখান থেকে ওসমানপুর উপজেলা চত্বরের বাইরে রাত ১টা পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে। পরে পুরাতন মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়াল টপকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে।

উপজেলা পরিষদের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তদন্ত সূত্র জানায়, রাত ১ টা ১৯ মিনিটে রবিউল গার্ডরুমের সামনে দারোয়ান আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে।

এরপর উপজেলার সরকারি কোয়ার্টারের সামনে দিয়ে ইউএনও’র বাসভবনের পশ্চিম দিকের দেয়াল টপকে বাসভবন চত্বরে প্রবেশ করে।

সেখানে কিছুক্ষণ বাসভবন পর্যবেক্ষণ করার পর রাত ১টা ৪৬ মিনিটে বাসভবনের পেছনের কবুতরের ঘরের দিক থেকে একটি মই হাতে ঝুলিয়ে নিয়ে আসে।

২টা ২ মিনিটে সে একটি হাতুড়িসহ গোলঘরে গিয়ে একটি চেয়ার নিয়ে যায়। চেয়ার ও মই দিয়ে সে বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠতে গিয়ে ব্যর্থ হয়।

প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ, দ্বিতীয়বার সফল
জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছে, প্রথম দফায় দ্বিতীয় তলায় উঠতে ব্যর্থ হয়ে চেয়ার ও মই রেখে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

সিসিটিভি ফুটেজেও রাত ২টা ২৬ মিনিটে তাকে চেয়ারটি পুনরায় গোলঘরে ও মইটি বাসভবনের পশ্চিম দিকে রেখে আসতে দেখা যায়।

এরপর ২টা ৩৬ মিনিটে রবিউলকে খালি হাতে গোলঘরের দিকে গিয়ে আবার ফেরত এসে বাসভবনের বাইরের সিকিউরিটি লাইট বন্ধ করতে দেখা গেছে।

সিসিটিভি ক্যামেরায় রাত ৩টা ২৯ মিনিটে তাকে আবার আমগাছের নিচ থেকে মই ও ব্যাগ নিয়ে বাসভবনের দিকে যেতে দেখা গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছে, ব্যর্থ হয়ে চলে যেতে উদ্যত হওয়ার সময় তার মনে হয় দ্বিতীয় তলায় ওঠার কেচি গেটের চাবি বাসার সিকিউরিটি গার্ড পলাশের কাছে থাকতে পারে।

এজন্য সে গার্ডরুমে গিয়ে পলাশকে নাক ডেকে ঘুমাতে দেখে। গার্ডরুম থেকে সে একটি তালা ও কিছু চাবি নিয়ে প্রথমে বাইরে থেকে গার্ডরুম তালাবদ্ধ করে রাখে।

কিন্তু কেচি গেট খুলতে না পেরে গার্ডরুমের সামনে থেকে টুল নিয়ে যায়। চেয়ার ও টুল একসঙ্গে করে মই বেয়ে সে দ্বিতীয় দফায় ইউএনও’র বাসভবনের দ্বিতীয় তলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।

রবিউলের দেওয়া তথ্যমতে, বাথরুমে ঢোকার পর সে বুঝতে পারে বেডরুমের ভেতর থেকে বাথরুমের ছিটকিনি আটকানো। ধাক্কা দিয়ে সে ছিটকিনি ভেঙে বেডরুমে প্রবেশ করে।

এরমধ্যে শব্দ পেয়ে ইউএনও তার বাবাকে ডাক দেন। রবিউল সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও’র মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ইউএনও ওয়াহিদা অচেতন হয়ে পড়ে যাওয়ার পর তার বাবা সেখানে আসেন।

রবিউল তাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দেয়। রবিউল ইউএনও’র বাবার কাছে আলমারির চাবি চায়। চাবি না দিলে তার নাতিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ইউএনও’র বাবা ওমর আলী তার নাতিকে না মেরে ঘরে যা আছে নিয়ে যেতে বলেন।

আলমারিতে ছিল ৪০ লাখ টাকা, খুলতে ব্যর্থ হয় রবিউল
জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানায়, ইউএনওর বাসায় নগদ টাকা রয়েছে এ বিষয়ে ধারণা ছিল রবিউলের। কিন্তু সে একটা চাবি পেয়ে আলমারি খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

পরে ওয়্যারড্রোবের ওপরে রাখা ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল নেয় সে। এ সময় ফজরের নামাজের আজান শুরু হলে সে দ্রুত ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে চলে যায়।

সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে, রাত ৪টা ৩১ মিনিটে মই ও ব্যাগ নিয়ে আম গাছের দিকে যাচ্ছে রবিউল। রাত ৪টা ৪০ মিনিটে উপজেলার মেইন গেটের দিকে যেতে দেখা যায় তাকে। যাওয়ার সময় ইউএনও’র বাসভবন ও অন্য কোয়ার্টারের মাঝখানে এক গোছা চাবি ফেলে যায় সে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহানুর রহমানের উপস্থিতিতে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম ও মামলার বাদী ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন মিলে ইউএনও’র বাসার আলমারি খুলে দেখেন সেখানে রাখা নগদ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ইউএস ডলার, স্বর্ণালঙ্কার, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও জমা রসিদ এবং জমির দলির সব অক্ষত রয়েছে।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মামলার বাদী ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিনের হেফাজতে দিয়ে দেন।

যোগাযোগ করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহানুর আলম বলেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম, ঘোড়াঘাটের ওসি সাহেব ছিলেন, পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে বাদী কী কী নিয়ে গেছেন এ বিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত বলতে পারবে।’

যোগাযোগ করা হলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, ‘বাসা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা ছিল, তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাদী নিয়ে গেছেন। এগুলো যেহেতু মামলার কোনও আলামত নয়, ফলে এসব নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই।’

হাতুড়ি পুকুরে ছুড়ে, শার্ট-গামছা পুড়িয়ে ফেলে রবিউল
জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানায়, ইউএনও’র বাসা থেকে বের হয়ে সে নতুন ভূমি অফিস সংলগ্ন পুকুরে হাতুড়িটি ফেলে দেয়। হেঁটে হেঁটে সে ঘোড়াঘাট টিএন্ডটি মোড়ে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে।

এ সময় হানিফ পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাস এলে তাতে উঠে বিরামপুরে গিয়ে নামে। বিরামপুর শহরের ঢাকা মোড়ের একটি গলিতে গিয়ে একটি গাছের নিচে হাতে থাকা লাল প্লাস্টিকের ব্যাগ ও ব্যাগে থাকা লাল শার্ট, লাল গামছা, মাংকি ক্যাপ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।

বিরামপুর বাজারে গিয়ে একটি হোটেলে ৩০ টাকা দিয়ে খিচুড়ি খায়। পরে সেখান থেকে একটি পিকাপে করে দিনাজপুর শহরে যায়। যষ্টীতলার আইনুলের গ্যারেজ থেকে সাইকেল নিয়ে সোজা চলে যায় বিরলের নিজ বাড়িতে। বাড়িতে গিয়ে গোসল করে ভাত খেয়ে সাইকেল নিয়ে আবারও দিনাজপুরে ডিসি কার্যালয়ে যায়।

পরে গোর-এ শহীদ ময়দানের পাশে কালেক্টরেট স্কুলের সামনে গিয়ে খোকন নামে একজনকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা দেয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা খোকনের কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করেছেন। খোকন, সেলুন মালিক মুরাদ ও গ্যারেজ মালিক আইনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও রবিউলের স্বীকারোক্তির সঙ্গে মিল পেয়েছেন। তিন জনকেই এই মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় খোকনের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়া গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগমের আদালতে মুরাদ ও আইনুলের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ইউএনওকে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়িটি পুকুর থেকে উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়েছে।

ক্ষোভ থেকেই হামলা ও টাকা চুরি
জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর ক্ষোভ থেকে হামলা ও টাকা চুরি করার পরিকল্পনা করেছিল সে।

২০০৮ সালে রবিউল দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফরাশ (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) হিসেবে যোগ দেয় সে। ২০১১ সালের ২৪ মে থেকে সে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে মালি হিসেবে কাজ করে।

গত বছরের ডিসেম্বরে তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় বদলি করা হয়। সেখানেও মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতো সে।

রবিউল জানায়, সে গত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেটসহ অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে কয়েক লাখ টাকা ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়ে।

রবিউলের দাবি, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ১৬ হাজার টাকা চুরি করেছিল। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ইউএনওকে সে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে, যাতে তার চাকরি নিয়ে কোনও সমস্যা না হয়। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ইউএনও তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না বলে কথা দিয়েছিলেন।

কিন্তু ১৫ জানুয়ারি ইউএনও টাকা চুরির বিষয়টি উল্লেখ করে রবিউলের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দেন। ৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা দায়েরের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রবিউলের দাবি, এ কারণেই সে ইউএনও’র ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। ক্ষোভ থেকেই সে পরিকল্পনা করে হামলা ও টাকা চুরি করতে যায়।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
court

আগামী সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

December 3, 2025
আইন মন্ত্রণালয়

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি

December 2, 2025
গুমের দায়ে মৃত্যু

গুমের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি

December 2, 2025
Latest News
court

আগামী সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

আইন মন্ত্রণালয়

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি

গুমের দায়ে মৃত্যু

গুমের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি

বিচার বিভাগ

নির্বাহী বিভাগের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হলো বিচার বিভাগ

হাসিনা

রেহানার ৭ বছর, হাসিনার ৫ বছর ও টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড

Sheikh Hasina

শেখ হাসিনার সম্পদের প্রতি লোভ আছে : বিচারক

খালেদা জিয়া

প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

জেলা জজ

পদোন্নতি পেয়ে জেলা জজ হলেন ২৫০ বিচারক

শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.