জুমবাংলা ডেস্ক : ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবন শাপলা থেকে ৪০ লাখ টাকা, ৫ হাজার ইউএস ডলার ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তার পরিবার, পুলিশ ও প্রশাসন।
এদিকে এমন সংবাদকে মনগড়া বলে উল্লেখ করেছে ইউএনও’র পরিবার। আর এ ধরণের সংবাদ প্রচার করে ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য কেউ ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি প্রশাসনের।
মামলার বাদী ইউএনও ওয়াহিদার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমার বোনকে এক কাপড় পরেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমার বোন নিজেই আমাকে বলেছিল আলমারি থেকে পুরাতন কাপড় নিয়ে যেতে। আবার নতুন কাপড় সেলাই করতেও ঝামেলার। তাই আলমারি থেকে আমার বোনের ব্যবহৃত পুরাতন কাপড় নিয়ে যাই। টাকা পয়সা, ইউএস ডলার এসব কিছুই ছিল না। আমি এসবের কিছু জানিও না!’
সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু অনলাইন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়, ইউএনওর বাসভবন থেকে নগদ ৩৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ইউএস ডলার, স্বর্ণালঙ্কার, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, টাকা জমার রশিদ, জমির দলিল ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম ও পুলিশের উপস্থিতিতে ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিনের হেফাজতে দেওয়া হয়। এই খবরে নতুন করে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
তবে আলমারিতে কোন টাকা, ইউএস ডলার ছিল না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ও ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন। তাকে কোন কিছু বুঝিয়ে দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, ‘টাকার প্রশ্ন কেন আসবে? এত টাকা কি কেউ বাড়িতে রাখে? আপনারা হলে এত টাকা বাড়িতে রাখতেন? আর আমরা তো টাকা দেখিনি। শুধু পুরাতন কাপড় তার ভাই বের করে নিয়ে গেছে। টাকা পয়সার কথা যারা বলছেন তারা কিভাবে জেনেছেন আমাদের জানা নেই।’
বিরামপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, ‘আমরা শুধু আলমারির চাবি ইউএনওর ভাইকে দিয়েছিলাম। টাকা পয়সার প্রশ্নই আসে না।’
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। কে কিভাবে প্রচার করেছে আমরা জানি না।’
জানতে চাইলে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও এর সাথে পরিকল্পনাকারীকে আড়াল করার জন্য একটি গোষ্ঠী চেষ্ঠা চালাচ্ছে। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলায় দেশবাসী যে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন, সেই দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।’
জেলা প্রশাসক আরোও বলেন, ‘আমার যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বক্তব্য দিয়েছে সেখানে কোথাও টাকার কথা উল্লেখ নেই। বিষয়টাকে কে কিভাবে ছাড়াচ্ছে আমরা সেটাও জানি না। এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন ইউএনওর ভাই। যদি তিনি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে বলুক। কিন্তু তিনিও তো জানেন না এই টাকা, ডলারের কথা। ইউএনওর বিষয়ে কেউ কেউ মিথ্যাচার চালাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’ সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।