আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্যকে উড়িয়ে দিলেও ঠিক দুই মাসের মাথায় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্যকে সত্য করেই ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়ে বসেছে রাশিয়া।
পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার অজুহাতে এবং ইউক্রেনকে ‘সামরিকীকরণ ও নাৎসিকরণ থেকে মুক্ত করতে’ এই অভিযান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ বা সর্বোচ্চ অধিনায়ক পুতিন। অন্য দেশের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের দায়দায়িত্ব তার ওপরই বর্তায়। তবে তিনি এক্ষেত্রে সবসময় তার অত্যন্ত অনুগত কিছু লোকজনের উপর নির্ভর করেন, যাদের মধ্যে অনেকেই রাশিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থায় তাদের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
যদিও একান্ত অনুগত উপদেষ্টাদের সাথেও সাম্প্রতিক কিছু ছবিতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে দেখা গেছে। তবে যুদ্ধে তারাই পুতিনকে সহায়তা করছেন।
সের্গেই শোইগু
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু পুতিনের দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব। পুতিনের মতোই তিনি ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং পশ্চিমাদের সামরিক হুমকি থেকে রাশিয়াকে রক্ষার জন্য লড়ায়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলে আসছেন।
তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের এতটাই ঘনিষ্ঠ যে, তার সঙ্গে শিকার করতে এবং মাছ ধরতে সঙ্গী হিসেবে সাইবেরিয়ায় যান, এবং তাকে একসময় পুতিনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু সম্প্রতি তার সাথেও দূরত্ব বজায় রাখছেন পুতিন। তবে রুশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং লেখক আন্দ্রেই সোলদাতভ বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যারা পরামর্শ দেন তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোগুই এখনও সবচেয়ে প্রভাবশালী একজন।
তিনি বলেন, ‘শোইগু শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে নন, তিনি আংশিকভাবে মতাদর্শের দায়িত্বেও রয়েছেন এবং রাশিয়ায় মতাদর্শ মানে মূলত দেশটির ইতিহাস এবং তিনি এই ইতিহাসের বয়ানটা ঠিক কী হবে, সেটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন।’
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ক্রিমিয়া দখলের সাফল্যের কৃতিত্ব সের্গেই শোইগুকে দেয়া হয়।
তিনি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউর দায়িত্বেও ছিলেন। নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করে বিষক্রিয়ার দুটি ঘটনার জন্যও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। একইসাথে ব্রিটেনের সলসবারিতে ২০১৮ সালের ভয়াবহ হামলা এবং ২০২০ সালে সাইবেরিয়ায় বিরোধী নেতা অ্যালেক্সই নাভালনির উপর প্রায়-প্রাণঘাতী হামলার পেছনেও ছিল তার নাম।
ভ্যালেরি গেরাসিমভ
রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ রুশ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একজন।
১৯৯৯ সালের চেচেন যুদ্ধে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকেই তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযানে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিকল্পনায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন। গত মাসে বেলারুসে সামরিক মহড়ার তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি।
রাশিয়া বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওত্তি তাকে ‘রাশভারী, মারকুটে’ স্বভাবের বলে বর্ণনা করেছেন। জেনারেল গেরাসিমভও ক্রিমিয়া দখলের সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুতেই যেভাবে হোঁচট খেয়েছে এবং সৈন্যদের মনোবল যেভাবে দমে গেছে, সেকারণে তাকে মূল দায়িত্ব থেকে কিছুটা সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু আন্দ্রেই সোলদাতভ মনে করেন, যারা এরকম কিছু দেখতে চান, এটি তাদের কথা।
তিনি বলেন, ‘পুতিনের একার পক্ষে তো প্রতিটি রাস্তা এবং প্রতিটি ব্যাটালিয়ন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না এবং জেনারেল গেরাসিমভ সেই ভূমিকাটি পালন করেন।’
সোলদাতভ বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়তো সামরিক ইউনিফর্ম পরতে পছন্দ করেন, কিন্তু তার আসলে কোন সামরিক প্রশিক্ষণ নেই। এজন্য তাকে পেশাদার সেনা অফিসারদের উপর নির্ভর করতে হয়।’
নিকোলাই পাত্রুশেভ
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভকে রুশ কট্টরপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কট্টর হিসেবে বর্ণনা করেছেন ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ, লন্ডনের রুশ রাজনীতি বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক বেন নোবেল।
তিনি জানান, পাত্রুশেভ মনে করেন, পশ্চিমারা বহু বছর ধরে রাশিয়াকে বাগে আনার চেষ্টা করছে।
তিনি পুতিনের তিন বিশ্বস্ত মানুষের একজন, যারা ১৯৭০ এর দশকে সেন্ট পিটার্সবার্গের সময় হতে তার সাথে কাজ করেছেন, যখন রাশিয়ার এই দ্বিতীয় শহরটি লেনিনগ্রাদ নামে পরিচিত ছিল।
অন্য দুই নেতা হলেন সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) প্রধান আলেকজান্ডার বোর্তনিকভ এবং বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন। প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বৃত্তের ভেতরে থাকা সবাই সিলোভিকি বা বাস্তবায়নকারী হিসাবে পরিচিত, তবে এই তিনজন আরো বেশি ঘনিষ্ঠ।
প্রেসিডেন্টের ওপর নিকোলাই পাত্রুশেভের মতো প্রভাব খুব কম মানুষই রাখেন। তিনি কমিউনিস্ট যুগে তার সাথে তৎকালীন সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে কাজ করেছিলেন। পরে ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নতুন সংস্থা এফএসবি-এর প্রধান হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইউক্রেনে আক্রমণের তিন দিন আগে রুশ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিস্টার পাত্রুশেভই বলেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান লক্ষ্য’ রাশিয়াকে ভেঙে ফেলা।
ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্টকে একটি ডেস্কের পিছনে বসে তার পারিষদবর্গের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে তার নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা একের পর এক এসে ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করছিলেন।
নিকোলাই পাত্রুশেভ ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। বেন নোবেল বলেছেন, ‘তিনিই সেদিন যুদ্ধের বড় হুংকারটা দিয়েছিলেন এবং এমন একটি ধারণা রয়েছে যে ওই কারণেই পুতিন আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।’
আলেকজান্ডার বোর্তনিকভ
রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট অন্য যে কোনো উৎসের চেয়ে সিকিউরিটি সার্ভিস থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর বেশি বিশ্বাস করেন এবং এফএসবি প্রধান আলেকজান্ডার বোর্তনিকভকে পুতিনের অভ্যন্তরীণ বৃত্তের অংশ হিসাবে দেখা হয়।
তিনি লেনিনগ্রাদ কেজিবি থেকে আসা আরেক পুরানো কর্মকর্তা।
নিকোলাই পাত্রুশেভ এফএসবি থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি এর স্থলাভিষিক্ত হয়ে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তারা দুই জনই প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলে পরিচিত, কিন্তু বেন নোবেল উল্লেখ করেছেন, ‘কে আসলে বেশি প্রভাবশালী, কে আসল সিদ্ধান্তটা দিচ্ছে, সেটা আসলে নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন।’
অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপরও এফএসবি-এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে, এমনকি তাদের নিজস্ব বিশেষ বাহিনীও রয়েছে।
বিশ্লেষক আন্দ্রেই সোলদাতভ মনে করেন, ’তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেও অন্যদের মতো তিনি রুশ নেতাকে চ্যালেঞ্জ করে পরামর্শ দেয়ার অবস্থানে নেই।’
সের্গেই নারিশকিন
পুরনো লেনিনগ্রাদের তিন সহকর্মীর বাইরে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (এসভিআর) প্রধান সের্গেই নারিশকিনে। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় প্রেসিডেন্টের সাথেই ছিলেন তিনি।
কিন্তু রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালে যখন তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পুতিন তাকে প্রচণ্ড অপদস্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট পুতিন যখন পরিস্থিতি সম্পর্কে তার মূল্যায়নের কথা জানতে চাইলেন, গোয়েন্দা প্রধান তখন আমতা আমতা করছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট তাকে এই বলে ধমকে দেন, ‘এখানে আমরা তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি না।’
আন্দ্রেই সোলদাতভ মনে করেন, ‘পুতিন তার ঘনিষ্ঠ গণ্ডির ভেতরে থাকা মানুষের সাথে গেম খেলতে পছন্দ করেন, এবং তাকে সেখানে (নারিশকিন) বোকা বানানো হয়েছে।’
সের্গেই নারিশকিন বহু দশক ধরে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ছায়াসঙ্গী। ১৯৯০ এর দশকে সেন্ট পিটার্সবার্গে, তারপর ২০০৪ সালে পুতিনের অফিসে এবং অবশেষে পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে।
তবে তিনি রাশিয়ান হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির প্রধান এবং সোলদাতভের দৃষ্টিতে, তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতিটি কাজের পেছনে একটি আদর্শিক ভিত্তি দাঁড় করাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
গত বছর তিনি বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা স্টিভ রোজেনবার্গকে একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন যেখানে তিনি অস্বীকার করেছেন যে রাশিয়া বিষ প্রয়োগ এবং সাইবার হামলা চালিয়েছে বা অন্য দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে।
টানা ১৮ বছর ধরে তিনি রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক, তিনি রাশিয়াকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছেন, যদিও যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তার বড় কোন ভূমিকা নেই।
সের্গেই ল্যাভরভ
ভ্লাদিমির পুতিন যে তার অতীতের লোকদের উপর অনেক বেশি নির্ভর করেন, ৭১ বছর বয়সী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তার আরেকটি উদাহারণ।
ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে তার রাশিয়ার ভূগোল জ্ঞান নিয়ে উপহাস করেছিলেন। এক বছর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেলকেও অপমান করার চেষ্টা করেন।
তবে ইউক্রেন ইস্যুতে তাকে দীর্ঘদিন একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি রাগী এবং অবন্ধুসুলভ বলে পরিচিত, কিন্তু তারপরও তিনি ইউক্রেনের বিষয়ে আরো কূটনৈতিক আলোচনার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট এবার তাকে উপেক্ষা করারই সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রাশিয়ার আগ্রাসনের পক্ষে যখন যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন, তখন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠক থেকে বেশিরভাগ সদস্য ওয়াক আউট করেন। যদিও বিষয়টিকে যে তিনি খুব একটা পাত্তা দিয়েছেন, তা মনে হয় না।
ভ্যালেন্তিনা মাতভিয়েনকা
রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের চেয়ারওম্যান ভ্যালেন্তিনা মাতভিয়েনকা পুতিনের ঘনিষ্ঠ মহলের মধ্যে বিরল এক নারী চরিত্র।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে বিদেশে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে তার সভাপতিত্বে, আর এর মাধ্যমেই ইউক্রেনে সেনা অভিযানের পথ খুলে গেছে।
ভ্যালেন্তিনা মাতভিয়েনকো হলেন সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে আসা পুতিনের বিশ্বস্ত এবং অনুগত ব্যক্তিদের আরেকজন। তিনি ২০১৪ সালেও ক্রিমিয়াকে দখল করার প্রচেষ্টায় সাহায্য করেছিলেন৷
তবে তাকে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। তারপরেও বলতে হয়, খুব কম লোকই সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে বলতে পারে যে, আসল সিদ্ধান্ত আসলে কে নিচ্ছে, আসল কাজগুলো কে করছে।
রুশ নিরাপত্তা পরিষদে তার ভূমিকাটাও ছিল অন্য সদস্যদের মতোই, তারা যেন সম্মিলিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেরকম একটা ধারণা দেয়া। যদিও এমন সম্ভাবনাই বেশি যে পুতিন হয়তো আগেই তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
ভিক্টর জোলোতোভ
রুশ প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন দেহরক্ষী ভিক্টর জোলোতোভ এখন রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড, রোসগভার্ডিয়া পরিচালনার দায়িত্বে আছেন।
রোমান সাম্রাজ্যের প্রাইটোরিয়ান গার্ডের আদলে এটি মাত্র ছয় বছর আগে গঠন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন, যা অনেকটা তার ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী হিসাবে কাজ করবে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীকে এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যাতে এটি সবসময় তার প্রতি অনুগত থাকে। ভিক্টর জোলোতোভ এরই মধ্যে এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা চার লাখে উন্নীত করেছেন।
পুতিনের আস্থাভাজন অন্য ব্যক্তিরা
প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন রাশিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কঠিন কাজের দায়িত্বে, তবে যুদ্ধের বিষয়ে তার তেমন কিছু বলার নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়েভজেনি মিনচেনকোর মতে, মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এবং রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি রোসনেফ্টের প্রধান ইগর সেচিনও প্রেসিডেন্টের বেশ ঘনিষ্ঠ।
ধনী ব্যবসায়ী দুই ভাই বরিস এবং আর্কাডি রোটেনবার্গ, প্রেসিডেন্টের শৈশবের বন্ধু ছিলেন, তারাও দীর্ঘকাল ধরে তার ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে আছেন। ২০২০ সালে, ফোর্বস ম্যাগাজিন তাদের রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী পরিবার হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।