রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর আগে মাঝে মাঝেই তুরস্ক এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ হতো। তবে যুদ্ধ শুরুর পর এই তুর্কিনেতার নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে মিডিয়া তুরস্ককে নিয়ে আগের থেকেও অনেক বেশি নিউজ করা শুরু করে এবং অনেক জায়গায় রাজনীতির মাঠে এরদোয়ানকে একজন দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
যখন ইউক্রেনের বন্দরে শত শত শস্যবাহী জাহাজ আটকে ছিল তখন একমাত্র তুরস্কের পদক্ষেপের ফলে সে জাহাজ এখন বন্দর ছেড়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাদে এ কাজ আর অন্য কোন রাজনীতিবিদ করতে সক্ষম নন।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বারবার এক টেবিলে বসাতে রাজি করাতে পেরেছেন এরদোয়ান। পাশাপাশি শস্যবাহী জাহাজ যেন বন্দর ছেড়ে যেতে পারে সেজন্য দুই দেশকে চুক্তি করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার ভয়ে ভীত হয়ে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে। সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তুরস্কের সরকার। নাটোতে তুরস্কের ভেটো ক্ষমতার কারণে আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তুরস্ক সরকার এর গুরুত্ব বেড়েছে।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে এরদোয়ান বাদে কেউই এতটা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে পারেনি। তিনি যখন ইরান সফর করেন তখন তিনি ওই দেশের রাষ্ট্রপতি রায়সি এবং পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এতে প্রমাণিত হয় আমেরিকার শত্রুদের সাথে তিনি সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে সদস্যপদ দিতে রাজি না হওয়ায় এরদোয়ান স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তুরস্ক সরকার যাই করুক না কেন পশ্চিমা বিশ্ব এখন তাদের অবহেলা করতে পারবে না।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে বাধ্য করেছেন তাদের সরকারের সাথে এক টেবিলে বসে আলোচনা করতে এবং তুরস্কের সব শর্ত মেনে নিতে। এর ফলে দেশে দুটি তুরস্কের জন্য হুমকিস্বরুপ কোন সন্ত্রাসী দলকে সমর্থন করবে না বলে জানায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের কাছে এফ-35 যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এরদোয়ান ক্ষুব্ধ হন। তবে বাইডেন তার গলার সুর নরম করেছেন এবং কয়েক ডজন f16 যুদ্ধবিমান তুরস্কের কাছে বিক্রি করতে তিনি রাজি হয়েছেন।
তুর্কিরাজের দাবির তালিকা দিন দিন বাড়ছে এবং তাকে সহ্য করা ছাড়া এখন পশ্চিমাদের হাতে কোন দ্বিতীয় অপশন নেই। কেননা তুরস্কর যদি রাশিয়া এবং চীনের বলয়ে পুরোপুরি ঢুকে যায় এতে পশ্চিমারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সূত্রঃ বিবিসি ও বিডি ভিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।