প্লেটোর মতো তিনিও স্কেল ও কম্পাসকে জ্যামিতিচর্চার একমাত্র বৈধ যন্ত্রপাতি বলেছেন। তিনি প্রথম টলেমির সময়ে আলেকজান্দ্রিয়ায় শিক্ষকতা করতেন এবং একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আলেকজান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল।
খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকের দিকে জনৈক পাপ্পাসের লেখা থেকে ইউক্লিডের আলেকজান্দ্রিয়ায় অবস্থানের পক্ষে সমর্থন মেলে। তিনি আরও লিখেছেন যে অ্যাপোলোনিয়াস আলেকজান্দ্রিয়ায় ইউক্লিডের ছাত্রদের সঙ্গে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেন এবং এর ফলেই তাঁর অমন বৈজ্ঞানিক চিন্তাচেতনার বিকাশ ঘটে।
প্রোক্লাস দাবি করেন যে রাজা প্রথম টলেমিই ইউক্লিডকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে এলিমেন্টস ছাড়া জ্যামিতি শেখার কোনো সহজ পথ আছে কি না। উত্তরে ইউক্লিড বলেছিলেন, ‘একটি দুরূহ গাণিতিক সমস্যাকে নিয়ে সংগ্রাম করা ছাড়া জ্যামিতি শেখার কোনো রাজকীয় পথ নেই।’ তাঁকে ঘিরে অন্য আরেকটি কাহিনি আছে, যা বর্ণনা করেছেন স্পেরিয়স।
তা হলো, ইউক্লিডের কাছে শিক্ষারত জনৈক ছাত্র জ্যামিতির ওপর প্রথম পাঠ নেওয়ার পর জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এইগুলো শিখে আমার কী লাভ হবে?’ এ কথায় ইউক্লিড তাঁর দাসকে ডাকলেন এবং বললেন, ‘একে একটি অবল (মুদ্রা) দান করো, কারণ সে যা শেখে, তার দ্বারা সব সময় লাভ করতে চায়।’ আজকালও এ রকম অসংখ্য মানুষ আছে (ক্রমে বাড়ছে), যারা জ্ঞান অর্জনকে হাতেনাতে লাভজনক হিসেবে দেখতে চায়।
পাপ্পাসের লেখা থেকে এ কথাও জানা যায় যে তাঁর নৈতিক চরিত্র খুবই উন্নত ছিল এবং গণিতের অগ্রগতিতে যাঁরা অবদান রেখেছেন, তা যতই ছোট হোক না কেন, তাঁদের সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত উঁচু ধারণা পোষণ করতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।