
দুই শতকের ঐতিহ্য, নকশায় অনবদ্য কারুকার্য—এসবের সম্মিলনেই টাঙ্গাইলের শাড়ি আজ বিশ্বস্বীকৃত। ইউনেস্কো টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য গৌরব।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কো কনভেনশনের ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। একইসঙ্গে, প্রথমবার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত চার বছরে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় নিবন্ধন, যা আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের সাংস্কৃতিক শক্তিমত্তার ইঙ্গিত বহন করে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান, ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন- “এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতীদের অনবদ্য শিল্পকর্ম আজ বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল। টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে বড় অনুপ্রেরণা।”
টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। ইউনেস্কোর এ স্বীকৃতি তাঁতীদের শ্রম, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার আন্তর্জাতিক প্রশংসা হিসেবে ইতিহাসে যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়।
রাষ্ট্রদূত এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতী ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে। রাষ্ট্রদূত তালহা মনে করেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি অর্জনের মত বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



