জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ের দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের জুয়া খেলা ও ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত জুয়া খেলা ও ইয়াবা সেবনের অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন বলছে, অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে প্রশাসন জনপ্রতিনিধিসহ দায়িত্বশীলের ভূমিকা পালন করার কথা বলছেন। কিন্তু উল্টো চিত্র ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের। তার বিরুদ্ধে সহযোগীদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত জুয়া খেলা ও ইয়াবা সেবনের অভিযোগ উঠেছে।
তার এমন অপকর্মের ভিডিও এখন জেলার অধিকাংশ মানুষের মোবাইলে ভেসে বেড়াচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম তার সহযোগীদের নিয়ে জুয়ার আসর বসিয়ে অন্য সহযোগীর সহায়তায় আগুন দিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন করছেন। তার এই অপকর্মের ভিডিও দেখে সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে থাকেন চেয়ারম্যান। তবে বেশিরভাগ সময় দিনে দেখা মেলে না তার। এলাকাবাসীর সঙ্গে খারাপ আচরণেরও অভিযোগ রয়েছে তার।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি। তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী রবি চন্দ্র বর্মন বলেন, আবহাওয়ার কারণে হয়তো তিনি আসেননি।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, আমার প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে। মাদকের ভিডিও’র সত্যতা মিললে পদ থেকে সরে আসার চ্যালেঞ্জও দেন তিনি।
আর মাদকের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, ভিডিওটি দেখেছি। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা মিললে অন্যান্য মাদকসেবীদের মতো সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তার বিরুদ্ধে এর আগে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ও পঞ্চগড়ের বোদা থানায় ভারতীয় শাড়ি ও ফেনসিডিল চোরাচালানের পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।