স্পোর্টস ডেস্ক: উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পরিবর্তে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালু করার কথা ভাবছে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো।
মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগে পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক কিংবা নেদারল্যান্ডস, রাশিয়ার ক্লাব অংশ নেয়। এতে গ্রুপ পর্বের বেশ কিছু ম্যাচ দর্শক প্রিয়তা হারায়। তাই ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো নকআউট ভিত্তিতে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।
আর এটি জার্মানির সংবাদ মাধ্যম গোপন দের স্পাইজেল সেই আলাপ-আলোচনার কথা ফাঁস করে দেয়। এরপর ফিফা এবং উয়েফা বিভিন্ন সময়ে ক্লাবগুলোকে সতর্ক করেছে।
সর্বশেষ রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ করোনাকালে ক্লাবগুলোর আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের মতো কিছু ভাবার সময় এসেছে বলে ইঙ্গিত দেন।
এদিকে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, চেলসি, টটেনহ্যাম, ম্যানসিটির মতো ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো ওই টুর্নামেন্টের পক্ষেই সাই দেয়।
আর তাই ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে অবশেষে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) উয়েফা ও মহাদেশীয় বাকি পাঁচ কনফেডারেশনের সঙ্গে মিলে এক যৌথ বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, সুপার লিগকে ফিফা প্রতিনিধিত্ব করে না। ফলে সুপার লিগ কোনও খেলোয়াড় অংশ নিলে বিশ্বকাপসহ ফিফা আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় ওই খেলোয়াড় অংশ নিতে পারবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো ইউরোপিয়ান সুপার লিগ বলে একটি টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনা করছে। এর প্রেক্ষিতে ফিফা এবং ছয়টি মহাদেশের কনফেডারেশন জোর দিয়ে জানাচ্ছে যে, এই ধরনের টুর্নামেন্ট ফিফা কিংবা অন্য কনফেডারেশনগুলো স্বীকৃতি দেবে না। কোন ক্লাব কিংবা ফুটবলার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।